বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমানহানার পর বিশ্বজুড়ে জঙ্গি দমনের পাশাপাশি এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ওসামা বিন লাদেনের হদিশ পেতে তল্লাশি অভিযানে নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের সেনা শহর অ্যাবোটাবাদে গোপন এক অভিযান চালিয়ে নিকেশ করা হয় আল কায়েদা প্রধানকে। কীভাবে ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের গোপন ডেরায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন, তা নিয়ে কোনও তদন্ত করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৮০’র দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় আল কায়েদা সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী এবং সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আমরাই এই সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে তৈরি করেছিলাম। সেই সময়ে জিহাদিরা সকলের কাছে ‘নায়ক’ ছিল। এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির দাপটেই ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। সুতরাং আল কায়েদার সঙ্গে খুব স্বভাবতই পাক বাহিনীর যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ৯/১১ হামলার পর নিজের অবস্থান থেকে সরে আসে পাকিস্তান। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জঙ্গি দমনে তারা আমেরিকার সঙ্গে হাত মেলায়। পাক বাহিনীর অনেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি। ফলে অভ্যন্তরীণ হামলার ঘটনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এমনকী, সেনাপ্রধান পারভেজ মোশারফের উপরেও দু’বার হামলা চলে। তবে ওসামা বিন লাদেন যে অ্যাবোটাবাদে আত্মগোপন করে রয়েছে, সেই বিষয়ে পাক সেনাপ্রধান বা আইএসআই প্রধান কিছুই জানতেন না। যেদিন রাতে আমেরিকা অভিযান চালায়, সেই সময়ে তাঁরা নিজেরাই একথা জানিয়েছিলেন। তার থেকেই আমি এই তথ্য জানতে পেরেছি। তবে আল কায়েদা প্রধানের অবস্থানের বিষয়ে নিচুতলার কর্মীদের কাছে তথ্য থাকার সম্ভাবনার কথাও প্রকারান্তরে মেনে নেন ইমরান।
২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর পাকিস্তান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে পাকিস্তানের উচিত ছিল নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে ইমরান বলেন, গত ১৯ বছর ধরে চেষ্টা করেও আপনারা সফল হননি। আগামী ১৯ বছরেও হবেন না।
এদিকে, ইমরান খানের এহেন মন্তব্যের পরেই ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কূটনীতিবিদদের একাংশের মতে, নিজের কথাতেই পাক প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে পাকিস্তান জঙ্গিদের মদতদাতা। আইএসআই ও পাক সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে এসেছে। জঙ্গি মদত নিয়ে ভারতের তরফে দীর্ঘদিন ধরে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তাও এদিন ইমরানের কথার মধ্যেই মান্যতা পেয়েছে।