ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
অন্যদিকে, কাশ্মীর নিয়ে অবশেষে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশকেই বার্তা দিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল বাশেলেট। এদিন জেনিভায় ৪২তম রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ভারতের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। মিশেল বলেন, ‘কাশ্মীরিদের মানবাধিকারের উপর ভারত সরকারের সাম্প্রতিক কাজের প্রভাব নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ, শান্তিপূর্ণ জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের আটক করা সবই রয়েছে। আমি আবারও ভারত এবং পাকিস্তানের সরকারের কাছে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার রক্ষা এবং তাকে সম্মান করার আর্জি জানাচ্ছি। বিশেষত, বর্তমান অচলঅবস্থা বা কার্ফু শিথিল করা এবং সাধারণ মানুষকে প্রাথমিক পরিষেবাগুলি দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে আমি আবেদন করছি। এবং যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সঠিক অধিকারগুলিকে সম্মান জানানো হোক।’ নিয়ন্ত্রণরেখার দু’দিকে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর দপ্তরে এখনও রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি মানবাধিকার প্রধানের। জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা খারিজের সিদ্ধান্তকে বারবারই অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের অভিযোগ, এই ইস্যুতে পাকিস্তান দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য করে ভারতবিরোধী প্ররোচনা দিচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, অসমের এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিশেল বাশেলেট। গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তাঁদেরকে যাতে আটক, প্রত্যর্পণ বা ‘দেশহীন’ না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য আগেই জানিয়েছে,সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে হওয়া এনআরসি একটি স্বচ্ছ, আইনি প্রক্রিয়া। এনআরসিতে নাম না থাকলেও কাউকে আটক করা হবে না। আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান সম্ভব এবং সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে না। তালিকা থেকে বাদ পড়া কোনও ব্যক্তিও দেশহীন হবেন না।