ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
চন্দ্রযান-২ এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ট্যুইট করেছে নাসা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মহাকাশ সহজ জায়গা নয়। চন্দ্রযান-২ অভিযানে ইসরো যেভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার চেষ্টা করেছে, তার প্রশংসা করছি আমরা। আপনাদের অভিযানে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। ভবিষ্যতে যৌথ উদ্যোগে সৌরমণ্ডলের রহস্য উন্মোচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমরা।’ শুধু নাসা নয়, ইসরোকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকও। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলের ট্যুইট, ‘চন্দ্রযান-২ এর অসাধারণ প্রচেষ্টার জন্য আমরা ইসরোকে শুভেচ্ছা জানাই। এই অভিযান ভারতের জন্য ভবিষ্যতের বড় পদক্ষেপ। বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির স্বার্থে মূল্যবান তথ্য আসা জারি থাকবে এর মাধ্যমে। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের আকাঙ্ক্ষা যে পূর্ণ হবে, সেবিষয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই।’ ঘটনাচক্রে ইসরোর প্রচেষ্টা নিয়ে আগেই প্রশংসা শোনা গিয়েছিল নাসার প্রাক্তন নভশ্চর জেরি লিনেঙ্গারের গলায়। শনিবার তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘আমাদের খুব বেশি হতাশ হওয়ার কারণ নেই। ভারত এমন একটা কিছুর চেষ্টা করছিল যা খুব খুবই কঠিন। বাস্তবে শেষলগ্ন পর্যন্ত সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চলেছে।’ তাঁর মতে, চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমকে সফ্ট ল্যান্ডিং করানোর লক্ষ্যে এই ‘দৃঢ় প্রচেষ্টা’ থেকে যে জ্ঞান অর্জন হল তা পরবর্তী অভিযানগুলিতে সাহায্য করবে ভারতকে।
শুধু নাসা বা ট্রাম্প প্রশাসন নয়, ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের প্রশংসা করেছে আমেরিকার প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিও। নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখা হয়েছে, চাঁদে নামার প্রথম প্রচেষ্টায় পুরোপুরি সফল না হলেও এই অভিযান ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সামর্থ তুলে ধরেছে। বিশ্বের প্রথম সারিতে জায়গা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় গত কয়েক দশকে ভারতের মহাকাশ গবেষণার কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট। চন্দ্রযান-২ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তাদের বক্তব্য, ভারতের এই মহাকাশ কর্মসূচির অন্যতম সাফল্য তাকে খুব কম খরচে বেঁধে রাখা। চন্দ্রযান-২ এর জন্য খরচ হয়েছে ১৪ কোটি ১০ লক্ষ ডলার। আমেরিকা তার ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযান অ্যাপোলোর জন্য যা খরচ করেছিল, তার তুলনায় এটা খুবই কম।
নাসার পেশ করা হিসেব অনুযায়ী, ১৯৫৮ সাল থেকে চাঁদকে স্পর্শ করার লক্ষ্যে মোট ১০৯টি অভিযান হয়েছে। তার মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র ৬১টি। ১৯৬৬ সালে প্রথম সাফল্য পেয়েছিলে পূর্বতন সোভিয়েত রাশিয়া। প্রথম সফ্ট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি পাঠাতে সফল হয়েছিল তাদের পাঠানো লুনা ৯। আর ইতিহাস হয়ে রয়েছে আমেরিকার অ্যাপোলো ১১ অভিযান। চাঁদের মাটিতে প্রথমবার পড়েছিল মানুষের পা। তিন সদস্যের ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন নিল আমস্ট্রং। এছাড়া শেষ এক দশকে মোট ১০টি চন্দ্রাভিযান হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি চীনের, তিনটি আমেরিকার এবং ইজরায়েল ও ভারতের একটি করে।