ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
শনিবার গভীর রাতে চাঁদে অবতরণ করার কথা রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীদের আশা, চাঁদের ভূপ্রকৃতিকে আরও ভালো করে বুঝতে তাঁদের প্রচুর সাহায্য করবে ইসরোর চন্দ্রযান-২ অভিযান। ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জায়ান্ট স্ক্রিনে বিক্রম ল্যান্ডারের অবতরণ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে চাঁদের মাটিতে নামবে বিক্রম ল্যান্ডার। মার্কিন পত্রিকা স্পেস ডট কম জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যে অংশে বিক্রম ল্যান্ডারের পেট থেকে প্রজ্ঞান রোভার বের হবে, অদূর ভবিষ্যতে সেই জায়গার গুরুত্ব অনেকটাই বাড়বে। কারণ, এতদিন অন্য কোনও মহাকাশযান চাঁদের ওই অংশে পৌঁছয়নি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবের বিজ্ঞানী ব্রেট ডেনেভি নেচার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যেখানে চন্দ্রযান-২ অবতরণ করবে, সেই জায়গাটা একেবারেই নতুন। চন্দ্রযানের ইনফ্রারেড ইমেজিং স্পেক্ট্রোমিটার কেমন কাজ করে তা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’ এই যন্ত্রটি ঠিকঠাক কাজ করলে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের অস্তিত্ব সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলেই জানান তিনি।
দেশের ১৩টি এবং নাসার ১টি যন্ত্র নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান-২। নাসার মহাকাশবিজ্ঞানী ডেভ উইলিয়ামস জানান, ভারতের চন্দ্রযান-২ অভিযান চাঁদের বহু অজানা দিক উন্মোচিত করবে। তাঁর কথায়, ‘আমরা চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালিয়েছি। কিন্তু, একেবারে চাঁদের মাটিতে নেমে পড়ার গুরুত্বটাই আলাদা।’
ভারতের এই ঐতিহাসিক চন্দ্র অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী জেরি লিনেনগার। ইসরোর এই অভিযানকে ‘দুর্দান্ত’ আখ্যা দিয়ে লিনেনগার বলেছেন, ‘এটা একটা দুর্দান্ত অভিযান হতে চলেছে। সবাই খুবই উত্তেজিত বোধ করছেন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। এই ঐতিহাসিক ঘটনার সরাসরি সম্প্রচারের সাক্ষী থাকতে পেরে এবং পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ বিক্রম ল্যান্ডারের অবতরণের ঘটনাটি ইসরো থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন লিনেনগারও। সেই উপলক্ষেই ভারতে এসেছেন তিনি।