ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
অক্টোবরেই চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পরিকল্পনা করেছিলেন জনসন। সেইসঙ্গে দলীয় এমপিদের কাছে ১৫ অক্টোবর অন্তর্বর্তী নির্বাচনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শাসক কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী এমপিরা বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই জনসনের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন। পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী এ ধরনের ভোট করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন প্রয়োজন। ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি আগাম ভোটের বিরোধিতা করে জানায়, কোনওরকম চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন যাতে না বেরিয়ে আসে, সেজন্য পার্লামেন্টে আগে আইন পাশ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর ছিল ব্রেক্সিট তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার দিন।
কিন্তু, ব্রেক্সিট সম্পূর্ণ করতে আগামী সপ্তাহে ফের একবার চেষ্টা চালাবে সরকার। বৃহস্পতিবারই উত্তর ইংল্যান্ডে নির্বাচনী প্রচারের ঢঙে জনসন বলেছিলেন, বর্তমানে আমি বিষয়টি দেশবাসীর উপর ছেড়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি, সেখানকার ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়ে ভাষণও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউয়ের থেকে তিন মাস সময় চেয়ে নিতে শুক্রবার হাউস অব লর্ডসে পাশ হয়েছে আইন। আগামী সোমবার তা আইনে পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে, জনসনের এই স্কটল্যান্ড সফর রাজনৈতিভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ২০১৬ সালে সেখানকার ভোটাররা ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকতে প্রস্তাব পাশ করেছিলেন। এবং এখানেই নিজেদের ১৩টি আসন ধরে রাখতে প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে টোরিদের। সেদিক থেকে ব্রেক্সিট ও আগাম নির্বাচন নিয়ে জনসনের এদিনের স্কটল্যান্ড সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।