ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর সেখানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে কাশ্মীর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। ‘টেলিফোন ও ইন্টারনেট’ যাতে সন্ত্রাসবাদীদের ‘হাতিয়ার’ হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। টেলিফোন ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ রাখার অর্থই হল সন্ত্রাসবাদীদের একটি হাতিয়ার অকেজো করে দেওয়া। কাশ্মীর থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী কমানো প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, খুব শীঘ্রই রাজ্যের পুলিসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কাশ্মীরিদের চাকরি ও অন্যান্য উন্নয়নের কাজও শুরু হবে। এদিন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের প্রধান ফেড্রিকা মোগাররিনির সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন।
অপরদিকে জাপান সফররত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত আলোচনা শুরু করবে না বলে মন্তব্য করেন। এদিকে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির স্পিকারদের সম্মেলনে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের আলোচনার দাবি কোনও গুরুত্বই পেল না। রবিবার মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ‘মজলিসে’ ওই বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি কাশ্মীর প্রসঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়ে ভারতকে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করেন। যদিও সম্মেলনে তাঁর প্রস্তাবটি এড়িয়ে যাওয়া যায়। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ পাকিস্তানের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর হল ভারতের অভ্যন্তরীণ এবং এনিয়ে রাজনীতিকরণ মেনে নেওয়া হবে না। এদিকে সম্মেলনের ফাঁকে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভূটানের স্পিকার ওয়াংচুক নামগয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার স্পিকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়।