হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠককে স্বাগত জানাল পাকিস্তান। এদিন, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যুইটারে বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠককে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিগত পাঁচ দশকে এই প্রথম বিশ্বের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক মঞ্চ কাশ্মীর ও সেখানকার গুরুতর পরিস্থিতির নিয়ে আলোচনা করল। এই বৈঠককে তাদের বিরাট সাফল্য বলেও প্রচার করছে পাকিস্তান। কিন্তু, বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তার উল্টো। চীন ছাড়া আর কোনও সদস্য দেশকে পাশে পায়নি তারা। শুধু তাই নয়, এই বৈঠকের পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়নি। অপরদিকে, নয়াদিল্লিও এই বৈঠককে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন ওই বৈঠকের পর সাফ জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যম্তরীণ বিষয়। এই নিয়ে অন্য কারও নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না। ফলে, অনেক চেষ্টা করে এই বৈঠক আয়োজন করা হলেও, দিনের শেষে ইমরান খানের দেশের মুখ পুড়ল বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
অপরদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পরমাণু-বার্তার সমালোচনা করেছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মুহম্মদ কুরেশি। তিনি বলেন, ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এইরকম সংবেদনশীল সময়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এবং এই ধরনের মন্তব্য করে ভারত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং আক্রমণাত্মক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। নয়াদিল্লি কখনই পরমাণু অস্ত্র প্রথম ব্যবহার করবে না বলে উল্লেখ করেছিলেন রাজনাথ। তার জবাবে কুরেশি কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা তখনকার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।