সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
স্বাধীনতা দিবসের দিন লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে রীতিমতো পরিকল্পনা করে ওই ভারত-বিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে অংশ নিয়েছিল পাকিস্তানি, শিখ এবং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংগঠনগুলি। তবে, ওই বিক্ষোভকারীদের পাল্টা দিতে লন্ডনের ইন্ডিয়া হাউসের সামনে ভারতপন্থী বহু মানুষও প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে জড়ো হয়েছিলেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দু’পক্ষকেই ধাতব বেষ্টনী দিয়ে আলাদা করে দিয়েছিল পুলিস। তবে, কয়েক হাজার মানুষের নাগাড়ে স্লোগান আর বিক্ষোভ প্রদর্শনে রাস্তায় ট্রাফিক আটকে যায়। একদিকে, হাতে প্ল্যাকার্ড দিয়ে ভারত-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। তাদের পাল্টা হিসেবে ভারতপন্থীরা তেরঙ্গা পতাকা তুলে ধরে স্লোগাত দিতে থাকেন। একসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিসকে। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথর ও বোতলের আঘাত থেকে বাঁচতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের আধিকারিকদের। তবে, শেষপর্যন্ত তাঁরা পরিস্থিতি সামলে নেওয়ায় বড় অঘটন ঘটেনি।
এদিকে, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিস অবশ্য এই বিক্ষোভকে শান্তিপূর্ণই তকমা দিয়েছে। তবে, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অশান্তি যে ঘটেছে এবং পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারীর আহত হওয়ার খবর স্বীকার করে নিয়েছে পুলিস। একটি বিবৃতিতে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বিক্ষোভ প্রদর্শন মোটের উপর শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত বিশৃঙ্খলার ঘটনায় পুলিস আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপ করতে হয়েছে। পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট অনুযায়ী পুলিসের কাজে বাধাদান এবং বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই পরিকল্পিত বিক্ষোভের আগাম খবর থাকার কারণে প্রচুর পুলিস ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল। গোটা ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন।’ এর আগে মেট্রোপলিটন পুলিস জানিয়েছিল, ওই বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর আগেই তাদের কাছে ছিল। সেই মতো ওই এলাকায় পর্যাপ্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছিল। পদাতিক পুলিসের পাশাপাশি অশ্বারোহী (মাউন্টেড) পুলিস দিয়েও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এদিনের বিক্ষোভের পুরোভাগে খলিস্তানপন্থীদের সংগঠনও ছিল, যারা ফি বছরই স্বাধীনতা দিবসে ইন্ডিয়া হাউসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে থাকে। কোনওবারই পরিস্থিতি এতটা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে না। কিন্তু, এবারে প্রেক্ষাপট ছিল আলাদা। সদ্য জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ উঠিয়ে তার পুনর্গঠন করেছে ভারত সরকার। তা নিয়ে ভারত-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যে তেড়েফুঁড়ে নামবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগে সকালে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাই কমিশনার রুচি ঘনশ্যাম। ১০৫টি দেশ ঘুরে গত সপ্তাহেই লন্ডনে এসে শেষ হয়েছিল ‘ওয়ার্ল্ড পিস র্যা লি’। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যেই ওই র্যা লিতে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দেন ভারতীয় হাই কমিশনার। বিশেষভাবে সক্ষমদের ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট সিরিজের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। তার জন্যও এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ভারতের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে অভিনন্দন জানান রুচিদেবী।