কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষাধিকারের প্রতীক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে দিল্লি। আর তাতেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় বুঝে উঠতে না পেরে সে দেশের কর্তাব্যক্তিরা উস্কানিমূলক নানা বিবৃতি দিতে শুরু করেছেন। বুধবার এই ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিলেন পাকিস্তানের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। ইমরান খান ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রীর মতে, ভারতের এই সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের সম্মানহানি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘সম্মান এবং যুদ্ধের মধ্যে আমাদের একটি বেছে নিতে হবে। সম্মানের জন্য যুদ্ধ করতে হয়। সেখানে জয়-পরাজয় বিবেচ্য হয় না। তাই আমাদের যুদ্ধ করতে ভয় পাওয়া উচিত নয়।’ যুদ্ধের পক্ষে আরও একটি যুক্তি পেশ করেছেন ফাওয়াদ। তাঁর কথায়, যুদ্ধ হলে বিশ্বের সব দেশ বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারবে।
বুধবার ভারতের সঙ্গে সব রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে সওয়াল করেন ফাওয়াদ চৌধুরী । কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানি সংসদের বিশেষ যৌথ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেই অধিবেশনে ফাওয়াদ বলেন, ‘এখানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কেন রয়েছেন? আমরা কেন ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছি না? যখন কোনও কূটনীতিই নেই, তখন আমাদের রাষ্ট্রদূত ওখানে কী করছেন?’ উত্তেজিত ফাওয়াদ আরও বলেন, ‘কূটনীতিই যখন নেই, তখন কূটনীতিকদের পিছনে অর্থ খরচ করা হচ্ছে কেন? ভারতের সঙ্গে অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত।’ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের সমর্থনে পোস্টার পড়ল ইসলামাবাদে। কঠোর নিরাপত্তায় মোড়া রেড জোনে মঙ্গলবার সকালে এই পোস্টার দেখে চোখ কপালে ওঠে পাক কর্তা ব্যক্তিদের। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘অখণ্ড ভারত’। সঙ্গে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে ভারতের অংশ দেখানো হয়েছে। রয়েছে, বালুচিস্তান নিয়ে সতর্কবাণী। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের ছবি দিয়ে বার্তা, ‘আজ জম্মু ও কাশ্মীর নিয়েছি, কাল বালুচিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর নেব। আমি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন সফল করবেন।’
প্রেস ক্লাব, সেক্টর এফ-৬ এব আবপারা চকে এই পোস্টার ঝোলানো সত্ত্বেও বহুক্ষণ তা কারও নজরে পড়েনি। এক পথচারী তা দেখে পুলিসকে জানান। এরপরই সেগুলি ছিঁড়ে ফেলা শুরু হয়। পোস্টারগুলি ছেঁড়া শুরু করতে কেন পাঁচঘণ্টা সময় লাগল, তা জানতে চেয়ে প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করেছে ইসলামাবাদের একটি আদালত। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে বাইকে করে এসে দু’জন সেগুলি ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দেয়। পোস্টার লাগানোর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।