কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
মিশরের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার রাতে তাহরির স্কোয়ার সংলগ্ন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের বাইরে একটি গাড়ির সঙ্গে আরও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। যার জেরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সেই আগুনে লেগে যায় হাসপাতালে। তড়িঘড়ি অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ৫৪ জন রোগীকে। কিন্তু প্রাণ হারান ১৯ জন। জখম হয়েছেন আরও ৩০ জন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সোমবার সকালে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় দমকলবাহিনী। সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের জানালা ও দরজা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে, হাসপাতালের নার্স-কর্মীদের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না সে ব্যাপারে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
যদিও, গাড়ি দুর্ঘটনায় কী করে এত বড় বিস্ফোরণ হল, তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে অবস্থিত এক ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী আবদেল রহমান মহম্মদ জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে আমাদের ব্যাঙ্কের কাচের মূল দরজা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।’ নিত্য সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে মিশরে। গত বছর ৮ হাজার দুর্ঘটনায় সেদেশে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১২ হাজার।
অন্যদিকে, এই প্রথম ইচ্ছামৃত্যুর আইনে প্রাণ ত্যাগ করলেন ক্যান্সার আক্রান্ত এক অস্ট্রেলীয়। তাঁর নাম কেরি রবার্টসন (৬১)। গত জুলাইয়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রাম্ত হয়ে মারা যান দু’ সন্তানের এই মা। তিন মাসে আগে কেরির চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১০ সালে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তা তাঁর সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কেমোথেরাপির যন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরে গত মার্চে চিকিৎসা না করানোর সিদ্ধান্ত নেন কেরি। তারপর থেকে মৃত্যুবরণ করতে টানা ২৬ দিন ধ্যানমগ্ন ছিলেন তিনি। কেরির মেয়ে জ্যাকুই বলেছেন, ‘শেষ দিকে আমার মা যন্ত্রণায় ছটফট করতেন। সেকারণেই ইচ্ছেমৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেন তিনি’।
মনে করা হচ্ছে, গত দু’বছরে এটাই অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ইচ্ছামৃত্যু। ২০১৭ সালে ইচ্ছামৃত্যুকে বৈধ করতে আইন পাশ করে স্টেট অব ভিক্টোরিয়া। যা গত জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য রাজ্যগুলিও এই বিল পাশ করবে। প্রসঙ্গত, এর আগে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বৈধ ছিল ইচ্ছামৃত্যু। কিন্তু, ১৯৯৭ সালে আইন পাশ করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ফেডারেল সরকার।