বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
২৩ বছর বয়সি ভাষা মুখার্জিকে চলতি বছরে ‘মিস ইংল্যান্ড’ প্রতিযোগিতায় মিস এশিয়ান ফেস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। ভাষার বাবা-মা দু’জনেই ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। ভাষারও ছোটবেলা কেটেছে ভারতেই। পরে ৯ বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে আসেন তিনি। পড়াশুনোর শুরু থেকেই ভাষার স্বপ্ন ছিল নভোশ্চর হওয়ার। কিন্তু স্কুলের পাঠ শেষ হওয়ার পরেই পারফর্মিং আর্টসের দিকে ঝোঁকেন তিনি। পা রাখেন মডেলিংয়ের দুনিয়ায়। চলতি বছরে ‘মিস ইংল্যান্ড’ প্রতিযোগিতায় পা রাখার আগে ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। এর পাশাপাশি চলতে থাকে পড়াশুনোও। মেডিক্যাল সায়েন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি পাওয়ার পর গত সপ্তাহে নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন এবং সার্জারিতে দ্বিতীয় ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। আরও জানা গিয়েছে, বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, জার্মান ও ফরাসি— পাঁচটি ভাষায় দক্ষ এই তরুণীর বুদ্ধাঙ্কও (আইকিউ) জিনিয়াস লেভেলের, ১৪৬।
‘মিস ইংল্যান্ড’-এর মতো সম্মানজনক খেতাব জয়ের পর কেমন ছিল অনুভূতি? এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ভাষা বলেন, ‘মিস ইংল্যান্ড খেতাব নাকি জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করা— কোনটা নিয়ে আমি বেশি উদ্বেগে ছিলাম, তা বলা কঠিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই জয় ছিল আমার কল্পনারও অতীত। ফল ঘোষণার পর মঞ্চেই কেঁদে ফেলেছিলাম। ওই মুহূর্তে পরিবারের সকলের কথা ভীষণ মনে পড়ছিল আমার। কারণ ওই প্রতিযোগিতায় আমি একাই ছিলাম।’
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ভাষা বলেন, ‘আগামী দিনেও আমি মাটিতে পা
রেখেই চলতে চাই। এখন আমার লক্ষ্য চলতি বছরের নভেম্বর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে চলা মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। পাশাপাশি, চিকিৎসক হিসেবেও নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই। আজও প্রতিযোগিতা শেষের পর ভোর চারটের সময় ট্রেন ধরে আমি হাসপাতালে যাই।’ প্রসঙ্গত, এবছরই প্রথম এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় একটি মেকআপ ফ্রি রাউন্ড রাখা হয়েছিল। মূলত মহিলাদের স্বাস্থ্যে মেকআপের খারাপ প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার জেরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।