আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিনের ভূমিকম্পের ব্যাখ্যা দিয়েছেন রিজক্রিস্ট স্ট্রিটের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন। সেখানে তাঁর এক মোটেল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় মনে হচ্ছিল মোটেলের দেওয়াল, ছাদ ভেঙে আমাদের ঘাড়ে পড়বে। আমরা যে বেঁচে যাব সেটা ভাবিনি।’ ওই মোটেলের দুই মালিক পিঙ্কি পাঞ্চাল এবং নিকেত আগরওয়াল বলেন, ‘গ্রাহকদের আহ্বান জানানোর জন্য দরজার কাছাকাছিই ছিলাম। সকাল ৮টা ৫ নাগাদ আমরা মোটেলের বাইরে যাই। তারপর ভিতরে ঢুকেই তীব্র কম্পন অনুভব করি। এই প্রথম এমন কোনও ভূমিকম্প অনুভূত হল। গোটা বাড়ি ভেঙে পড়বে বলে মনে হচ্ছিল। গ্রাহকরা ভয়ে বাইরে ছুটে চলে যায়।’ জানা গিয়েছে, রিজক্রিস্ট স্ট্রিট থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে লস এঞ্জেলসের মানুষও ভালোমতোই কম্পন অনুভব করেছেন। মেয়র এরিক গারসেট্টি বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন গোটা পৃথিবী কেঁপে উঠছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।’
ক্যালিফোর্নিয়ার ভূকম্পবিদ লুসি জোনস বলেন, আগের ভূমিকম্পের থেকে এটি প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল। তবে এর জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাস্তাঘাট এবং ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে পাথর পড়ে কার্ন কাউন্টির রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া আগুন লেগে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অরেঞ্জ কাউন্টি, লস এঞ্জেলস, লাস ভেগাস সহ বেশ কয়েকটি শহরের বিভিন্ন পার্ক নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।