বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মঙ্গলবার মামলার শুনানির আগে ছেলে সিদ্ধার্থ এবং সহযোগী পিঙ্কি লালওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে আসেন বিজয় মালিয়া। আদালতে ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মালিয়া জানান, এই মামলা নিয়ে তিনি আশাবাদী। এদিন মালিয়ার প্রত্যর্পণের নির্দেশ নিয়ে মামলার শুরুতেই গত বছর ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবাথনটের এজলাসের সওয়াল-জবাব প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আইনজীবী মন্টগোমারি। মালিয়ার আবেদনের বিরুদ্ধে চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবাথনট যে রায় দিয়েছিলেন, তা সঠিক ছিল না বলেও জানান তিনি।
মালিয়ার পক্ষে সওয়াল করার সময় আইনজীবী ক্লারা মন্টগোমারি আরও জানান, ভারত সরকারের তরফে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে অধিকাংশই ঠিক ছিল না। নিজের ধুঁকতে থাকা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় তাঁর সংস্থা লাভে চলছিল বলে বিজয় মালিয়া মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাও ভুল ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে মালিয়ার ব্যবসায় যে ভরাডুবি হয়েছে, তা বুঝতে পারেননি আরবাথনট। ভারত সরকারের তরফে যেভাবে মামলটি উপস্থাপন করা হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই নিম্ন আদালতে রায় দেওয়া হয়েছে। প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মামলায় ভারত সরকারের তরফে খুব খারাপভাবে নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান মন্টগোমারি।
সূত্রের খবর, যাবতীয় শুনানি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই মামলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে। তবে এই মামলায় হেরে গেলে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে হবে। প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত কোনও মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর বিষয়টি ব্রিটেনে অত্যন্ত বিরল। হাইকোর্টে মামলা হেরে গিয়ে যদি বিজয় মালিয়ার আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চান, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কোর্ট’ থেকে সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। ব্রিটেনের হাইকোর্টের বাইরে লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া। ছবি: পিটিআই