বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এই পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবগত, এমন এক ব্যক্তির দেওয়া সূত্রের ভিত্তিতে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, কিম জং-নাম সিআইএর গোয়েন্দাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেছেন। তিনি সিআইএর কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যই মূলত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেন। ওই সময় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার কায়দায় তিনি গুপ্তহত্যার শিকার হন। তাঁর ওপর স্নায়বিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা এই ঘটনার পর দাবি করে, উত্তর কোরিয়া এই হত্যা করিয়েছে। যদিও পিয়ংইয়ং ওই দাবি খারিজ করে দেয়।
এই ঘটনায় মালয়েশিয়া দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের একজন ভিয়েতনামের নাগরিক সিতি আইসিয়াহ ও আরেকজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক দোয়ান থি হুয়ং। তাঁদের বিরুদ্ধে কিম জং-নামকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আদালতে ওই দুই তরুণী দাবি করেন, তাঁরা উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দাদের ফাঁদে পড়ে ওই স্নায়বিক এজেন্ট বহন করেছিলেন। স্নায়বিক এজেন্টের কথা তাঁরা জানতেন না। টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোর জন্য প্র্যাঙ্ক (মজা) করার কথা বলে তাঁদের ওই বিপজ্জনক বস্তু ধরিয়ে দিয়েছিল গোয়েন্দারা। মালয়েশিয়া পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। সিতিকে গত মার্চে এবং হুয়ংকে গত মে মাসে মুক্তি দেওয়া হয়।
কিম জং উনের সৎভাই কিম জং-নামের উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার কথা ছিল একসময়। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সর্বোচ্চ নেতা কিম ইল-সাংয়ের পর সর্বোচ্চ নেতা হয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে কিম জং-ইল। আর ইলের উত্তরসূরি ছিলেন তাঁর তিন ছেলে। বড় ছেলে ছিলেন কিম জং-নাম, মেজ ছেলে কিম জং-চুল আর কনিষ্ঠ ছেলে ছিলেন কিম জং-উন। নিয়ম অনুসারে বড় ছেলে জং-নামেরই ইলের পর সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০০১ সালে তিনি পাসপোর্ট নকল করে জাপানের ডিজনিল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করে ধরা পড়েন এবং জাপান তাঁকে বহিষ্কার করে। এরপরই বাবা ইলের বিরাগভাজন হন তিনি এবং ২০০৩ সালে উত্তর কোরিয়া তাঁকে নির্বাসিত করে। এরপর ২০১০ সালে উত্তরসূরি ঘোষণা করা হয় উনকে এবং ২০১১ সালে ইলের মৃত্যুর পর উন ক্ষমতায় আসেন। সেই থেকে তিনি কিম বংশের একজন কড়া সমালোচক হন জং-নাম।