উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ, জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত পাকিস্তানে বহু স্কুল, মাদ্রাসা, ক্লিনিক এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেয়। যার জন্য ৭০ লক্ষ ডলার সাহায্য পেয়েছে তারা। কীভাবে এবং কোথা থেকে এই বিপুল টাকা জঙ্গিদের হাতে এল, তার তদন্ত করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছিল প্যারিসে সদরদপ্তর থাকা আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। রবিবার থেকে ফ্লোরিডায় বৈঠকে বসেছে তারা। পাকিস্তান এ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। কারণ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফএটিএফ প্লেনারির এক সদস্য বলেন, ‘প্রস্তাবিত ২৭ দফা পদক্ষেপের মধ্যে ২৫টিতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ১৫ মাসের প্রদত্ত সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে। তার আগে জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার শেষ সুযোগ পাবে পাকিস্তান।’ প্রসঙ্গত, জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠা করে হাফিজ সইদ।
গত বছরের জুনে পাকিস্তানকে ‘ধূসর’ তালিকাভুক্ত করেছিল এফএটিএফ। পাশাপাশি, আর্থিক সাহায্য নিয়ে জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৭ দফা পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। তারপর অক্টোবরে এবং এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পরবর্তী প্লেনারি বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছিল তারা। এবং পাক নির্ভর জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার পরে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্তই রেখে দেয় এফএটিএফ। এই পরিস্থিতিতে লস্কর, জয়েশ ও জামাত নেতাদের ধৃত ঘোষণা করে পাকিস্তান। যদিও, তাদের ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসদমন আইনে গ্রেপ্তার না করে মেন্টেন্যান্স অব পাবলিক অর্ডার আইনে গ্রেপ্তার করেছে ইমরান খানের সরকার।
পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত রেখে দেওয়ার অর্থ হল, র্যা ঙ্কিং কমানোর ধারা বজায় রাখবে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া পাকিস্তানের র্যা ঙ্কিং কমাতে পারে মুডিজ, এস অ্যান্ড পি এবং ফিচের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাও। আর তাই যদি হয়, তাহলে বিরাট আর্থিক সঙ্কটে পড়বে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে দেশে শুধু লগ্নি নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আর্থিক সাহায্য, অনুদান পেতেও সমস্যায় পড়তে হবে ইমরান প্রশাসনকে।