কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ইমরান লিখেছেন, যেহেতু আলোচনা ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জমে থাকা অসংখ্য সমস্যা ও জটিলতাগুলির সমাধানের আর কোনও বিকল্প নেই, তাই যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার টেবিলে ফেরা উচিত। তবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি ওই চিঠিতে ইমরান কাশ্মীরের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে ভোলেননি। তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন জটিলতা ও কাশ্মীর নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই ভারতের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবে কোনও দ্বিপাক্ষিক যৌথ বিবৃতিতেই ভারত কখনও কাশ্মীরকে সমস্যা হিসেবেই মেনে নেয়নি। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা কিংবা আস্থাবর্ধক বৈঠকে কাশ্মীর শব্দ উত্থাপন করার জন্য অতীতে বহু বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়নি, বহু আলোচনা মাঝপথে ভেস্তে গিয়েছে। এবারও তাই যেহেতু ইমরান খান চিঠিতে বিশেষভাবে কাশ্মীর উল্লেখ করেছেন, তাই ভারতের পক্ষ থেকে অবস্থান যে আরও কঠোর হবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এবং ভারত বস্তুত মনে করছে আদতে সত্যিই পাকিস্তান কি আলোচনা চাইছে? নাকি আন্তর্জাতিক মহলকে বার্তা দেওয়াই উদ্দেশ্য যে পাকিস্তান শান্তি চায়, ভারত রাজি হচ্ছে না? কারণ সেটা না হলে শর্তহীন আলোচনাই কাম্য ছিল ইমরানের চিঠিতে। সেটা না করে ইমরান কৌশলে কাশ্মীর ইস্যু ঢুকিয়েছেন চিঠিতে।
এদিকে ইমরানের চিঠিতে ভারত কোনও সাড়া না দিলেও আমেরিকা পাকিস্তানকে বিদ্ধ করেছে। হোয়াইট হাউস সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছে উপমহাদেশে শান্তি ফেরানোর মতো বাতাবরণ তৈরি করার দায় পাকিস্তানেরই। ভারত বারংবার যেকথা বলে চলেছে, সেই একই কথা বলেছে আমেরিকাও। সেটি হল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যতক্ষণ না কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে ততক্ষণ প্রমাণ হবে না যে সত্যিই ইসলামাবাদ আগ্রহী। এদিকে আগামী সপ্তাহে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে মোদি যাতে ইমরানের সঙ্গে সম্মেলনের ফাঁকে পৃথক আলোচনা করতে রাজি হন, সেই লক্ষ্যে মরিয়া পাকিস্তান। কিন্তু ভারত এখনই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম শান্তি আলোচনায় যেতে রাজি নয়।