কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দলনেতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে ১০ জুন, সোমবার। ওই দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে দলের নির্বাচন সংক্রান্ত বিশেষ কমিটি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে মনোনয়ন দাখিলের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কনজারভেটিভ দলের ১১ জন এমপি। সেই তালিকার প্রথম সারিতে থাকতে পারেন ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন, বিদেশ সচিব জেরেমি হান্ট এবং পরিবেশ সচিব মাইকেল গোভ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর মে’র উত্তরসূরি খুঁজতে শুরু হবে ভোট প্রক্রিয়া। ঠিক হয়েছে আগামী ১৩, ১৮, ১৯ এবং ২০ জুন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলনেতা ঠিক করবেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি’রা। কমপক্ষে দু’জনকে ওই পদের জন্য বেছে নেবেন তাঁরা। নির্বাচন কমিটির তরফে চার্লস ওয়াকার জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০ জুনই নির্বাচিত দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া। এর পরেই দলের সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে তাঁদের একজনকে দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। ওয়াকার আশা করছেন, ২২ জুলাইয়ের মধ্যেই মে’র উত্তরসূরি হিসেবে কে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন, তা ঠিক হয়ে যাবে।
ব্রেক্সিট চুক্তি রূপায়ণে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর নিজে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন মে। ২০১৬ সালের জুন মাসে ব্রেক্সিট গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন তিনি। গত ২৩ মে আবেগতাড়িত কণ্ঠে নিজের ব্যর্থতার কথা কবুল করে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তিনি। সেই সঙ্গে উত্তরসূরির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘গণভোটকে সম্মান দিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তিকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।’ মে’র এই বার্তাতেই স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী পদে যিনিই বসবেন ব্রেক্সিট হবে তাঁর কাছে কাঁটার মুকুটের শামিল। কেননা, ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সহমত প্রতিষ্ঠার লড়াই যে কতটা কঠিন, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মে।