যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
আলদাবরা আতোলের হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখিরা শেষ পর্যন্ত বিবর্তিত হতে হতে এমন এক পর্যায়ে দাঁড়াল যে তারা তাদের ওড়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। তারা ফ্লাইটলেস রেল প্রজাতির পাখিতে পরিণত হল। সেখানে কোনও শিকারী না থাকায় তাদের ওড়ার প্রয়োজন পড়ল না। ওড়ার সক্ষমতা হারানোর কারণে একসময়ে এসে এই পাখি প্রজাতি আবার বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে গেল। ১ লাখ ৩৬ হাজার বছর আগে আতোল দ্বীপ ভারত মহাসাগরে তলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার প্রাণী ও উদ্ভিদও বিলুপ্ত হয়ে গেল। একই পরিণতি হল ফ্লাইটলেস রেল প্রজাতির পাখিরও। এই ঘটনার ৩৬ বছর পর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আবারও কমে গেল এবং আতোল দ্বীপে আবারও হাজির হল ফ্লাইটলেস পাখি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ব রেকর্ড থেকে ইঙ্গিত মিলেছে হোয়াইট থ্রোটেড রেল প্রজাতির পাখি আবারও দ্বীপটিতে আবাস স্থাপন করেছিল এবং আবারও তারা বিবর্তিত হয়ে উড্ডয়ন সক্ষমতাহীন উপ প্রজাতিতে পরিণত হয়েছিল।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রধান গবেষক জুলিয়ান হিউম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অনন্য এই জীবাশ্ম এমন এক অকাট্য প্রমাণ হয়ে উঠেছে যে, রেল পরিবারের এক সদস্য সম্ভবত মাদাগাস্কার থেকে এসেছে এবং প্রত্যেকবারই স্বতন্ত্রভাবে ওড়ার সক্ষমতা হারিয়েছে।’ গবেষকরা বলছেন, পুনরাবৃত্তিমূলক বিবর্তনের উল্লেখজনক ঘটনা এটি। এর মানে হল, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই পাখি বারবারই একই আদিম প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছে।