উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
মায়ানমারে সামরিক সরকারের শাসনকালে সু কি যখন গৃহবন্দি ছিলেন, তখন বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। দলাই লামা, নেলসন ম্যান্ডেলা ও মার্টিন লুথার কিংয়ের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে তাঁর দল সরকার গঠন করার পর তিনি যেন বদলে গেলেন। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে তাঁর সমর্থকরা প্রথম দিকে বলেছেন, সামরিক বাহিনীর উপর সু কির নিয়ন্ত্রণ খুব কমই। কিন্তু দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনী নির্যাতনের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী সমালোচনা না করায় সু কির সেই বন্ধু এবং সমর্থকরা বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন। কারণ, রাষ্ট্রসঙ্ঘ রাখাইনের ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করলেও সু কি বরাবরই নীরব থেকেছেন। একপর্যায়ে মুখ খুললেও তাঁর বক্তব্য ছিল সেনাবাহিনীর পক্ষেই।
৫১১ দিন কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন ওই দুই সাংবাদিক। তাঁদের মুক্তির মধ্য দিয়ে মায়ানমারের সাংবাদিকদের মধ্যে আনন্দ এবং স্বস্তি ফিরেছে। তবে এই ঘটনা সু কির ব্যর্থতাকে আবারও সামনে এনেছে। রয়টার্সের এই দুই সাংবাদিক যে অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, তা বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় সু কির সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার কর্তা ফিল রবার্টসন বলেছেন, এই দুরবস্থার মধ্যে সু কি প্রতিনিয়ত অসহযোগিতা করেছেন। মায়ানমারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি বড় ইস্যু। এর মধ্যেই গণমাধ্যমের প্রতি সু কির শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করেছে। সু কির দল ক্ষমতায় আসার পর মায়ানমারে সংবাদমাধ্যমের অবস্থা যেন আবারও সেই সামরিক জমানার সময়ে ফিরে গিয়েছে। সাংবাদিকদের উপর হুমকি ও তাঁদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। ২০১৭ সালেই বিতর্কিত আইনে ২০ সাংবাদিকের বিচার হয়েছে। এ ছাড়া একই সময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ভুল তথ্যকে সমর্থন দেওয়ায় সু কি সমালোচিত হয়েছেন। তবে সু কির কট্টর সমর্থকেরা এখনও বলছেন, পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ। কাজেই এই বাহিনীর কাছে সু কির হাত-পা বাঁধা।