বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
২০১৪ এবং ২০১৭ সালেও এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন হিন্দুজারা। গত বছর ১৩৫ কোটি পাউন্ড সম্পত্তি বাড়ানোর ফলে ফের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছেন দুই ভাই। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকুক বা না থাকুক, স্বদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী গোষ্ঠীর কো-চেয়ারম্যান গোপীচাঁদ হিন্দুজা। সংবাদপত্রে ৭৯ বছর বয়সি এই শিল্পপতির পরিচয়ে এমনটাই লেখা হয়েছে। গোপীচাঁদ, ৮৩ বছরের শ্রীচাঁদ, তাঁদের আরও দুই ভাই ৭৩ বছরের প্রকাশ এবং ৬৮ বছরের অশোক- এই গোষ্ঠীর অধীনে থাকা ৫০টিরও বেশি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন। শুধু ২০১৮ সালেই তাঁদের অধীনস্থ সংস্থাগুলির টার্নওভার ছিল প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা।
সানডে টাইমসের ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ডেভিড রুবেন এবং সাইমন রুবেন। মূলত প্রপার্টি এবং ইন্টারনেট ব্যবসায় আগ্রহী তাঁরা। গত বছর লন্ডনে ১০০ কোটি পাউন্ড সম্পত্তি কিনেছেন দু’জনে। মেফেয়ারের ৩০ কোটি পাউন্ডের বার্লিংটন আর্কেড, শোরেডিচের কার্টেন হোটেল এবং পিকাডেলিতে ১৩ কোটি ২০ লক্ষ পাউন্ডে একটি ব্লক কিনেছেন রুবেন ভাইরা। ব্যবসার একটি আলাদা ক্ষেত্রে ২৪০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের পর গত বছর জুলাই মাসে ২১০ কোটি পাউন্ডে একটি গ্লোবাল স্যুইট ডেটা সেন্টারের শেয়ার বিক্রি করেছেন তাঁরা। এমনটাই লিখেছে ‘সানডে টাইমস’। ২০১৮ সালে ধনীদের তালিকায় চার নম্বরে ছিলেন রুবেন ভাইরা। গত বছর ৩৫৬ কোটি পাউন্ড সম্পত্তি বাড়িয়ে এবার তালিকায় দু’নম্বরে উঠে এসেছেন তাঁরা।
২০১৮ সালে ধনীদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে ছিলেন লন্ডনের অপর ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তাল। এবছর ব্যবসায় ৩৯৯ কোটি পাউন্ড ক্ষতির মুখ দেখায় তালিকায় একাদশতম স্থানে নেমে এসেছেন তিনি। গত বছর রাজস্থানের এই ইস্পাত ম্যাগনেটের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০৬৬ কোটি পাউন্ড। তালিকায় তাঁর পরেই রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত খনি ম্যাগনেট তথা বেদান্ত গোষ্ঠীর মালিক অনিল আগরওয়াল। ১০৫৭ কোটি পাউন্ড সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। ৮৭২ কোটি পাউন্ড সম্পত্তি বেড়েছে এই শিল্পপতির। ২০১৯-এর পর্যালোচনায় সম্পত্তি বেড়েছে যে বিলিয়নেয়ারদের, তাঁদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা ৪৫। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বস্ত্র ও প্লাস্টিক শিল্পপতি শ্রী প্রকাশ লোহিয়া। ৫৪০ কোটি পাউন্ড সম্পত্তির মালিকের জায়গা হয়েছে ২৬ নম্বরে। ২৪ কোটি ৩০ লক্ষ পাউন্ড সম্পত্তি বেড়েছে তাঁর। ৫০ কোটি পাউন্ড সম্পত্তি বেড়েছে অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পলের। গত বছর ৯০ তম স্থানে ছিলেন তিনি। এবছর সেখান থেকে ৬৯ তম স্থানে উঠে এসেছেন এই শিল্পপতি। ২০০ কোটি পাউন্ড সম্পত্তির মালিক তিনি।
এবছর এই তালিকায় প্রথমবার স্থান হয়েছে কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতির। ৭৫ নম্বরে রয়েছেন পরিবহণ ও খাদ্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পপতি সুনীল বাসওয়ানি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৯০ কোটি পাউন্ড। কেয়ার হোম এবং হোটেল ব্যবসায়ী লর্ড ডোলার পোপাটও এবারই প্রথম জায়গা পেয়েছেন এই তালিকায়। হাউস অব লর্ডসে তিনিই প্রথম গুজরাতি কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রতিনিধি। উগান্ডার স্বৈরাচারী শাসক ইদি আমিনের সময় ১৭ বছর বয়সে ১০ পাউন্ড নিয়ে ব্রিটেনে এসেছিলেন তিনি। জিম্বাবোয়ে থেকে আসা ভ্যালেরি মোরান হলেন এই তালিকায় জায়গা করে নেওয়া প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা উদ্যোগপতি। আর্থিক প্রযুক্তির ব্যবসা থেকে ১২ কোটি ২০ লক্ষ পাউন্ডের মালিক তিনি।
ব্রিটেনের এক হাজার ধনী ব্যক্তি স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়। জমি, সম্পত্তি, শিল্পকলা এবং বিভিন্ন সংস্থায় থাকা শেয়ারের ভিত্তিতেই তাদের সম্পত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এর সঙ্গে শিল্পপতিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা অঙ্ক যোগ করা হয়নি। এবছরের তালিকায় প্রযুক্তিই ভাগ্য নির্ধারণ করেছে অনেকের। বিশেষ করে নতুন উদ্যোগপতিরা অনলাইন ফ্যাশন, ডেটিং অ্যাপস এবং ইউটিউব ভিডিও থেকে ব্যাপক আয় করেছেন।