বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
আমেরিকা যাই বলুক, মাসুদ আজহার নিয়ে চীনের মনোভাব কতটা বদলাবে, তা নিয়ে ফের সংশয় তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতি সখ্য থেকে এর আগেও বহুবার জয়েশ প্রধানের নাম আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ আটকে দিয়েছে বেজিং। এবার নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে ফের বেসুরো চীন। এবিষয়ে বুধবার চীনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হল, এই ইস্যুর নিষ্পত্তিতে সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানই একমাত্র রাস্তা। চীনের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র লু কাং বলেন, এটুকু ফের বলতে পারি, বেজিং দায়িত্বশীল মনোভাব জারি রাখবে। আর সেই মনোভাব থেকেই ১২৬৭ কমিটির বৈঠকে অংশ নিয়ে আলোচনা চালাবে।
এর আগে চীনের বাধায় মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার উদ্যোগ তিনবার ভেস্তে গিয়েছে। এবারও সব নজর চীনের দিকেই। ঘটনাচক্রে পুলওয়ামা হামলার পর তার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদ। তার কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে জয়েশ প্রধানের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের ওই কমিটিতে প্রস্তাব আনে আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। এর আগে ২০০৯ ও ২০১৬ সালে ভারতের আনা প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিল চীন। ২০১৭ সালে একইভাবে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের আনা প্রস্তাব আটকে দিয়েছিল বেজিং। ওই তিন দেশের মতোই ভেটো ক্ষমতার অধিকারী চীনও রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। এবারও এই তিন দেশ একযোগে প্রস্তাব এনেছে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের আল কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে কোনও প্রস্তাব পেশ হলে, আপত্তি জানানোর জন্য ১০ দিন সময় থাকে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রাত ১২টা ৩০ মিনিটে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। সব সদস্যের সহমতের ভিত্তিতে এই কমিটি যেকোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পাশাপাশি সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পরও যদি কোনও আপত্তি না আসে, তাহলে ধরে নেওয়া হয় সব সদস্য দেশেরই সমর্থন রয়েছে প্রস্তাবটিতে। তেমনটা হলে স্বাভাবিক নিয়মেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় নাম উঠে যাবে মাসুদ আজহারের। কাজেই চীন কী করে, এবারও সব নজর সেদিকেই।