বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিভিন্ন সময় সংস্থার কর্তা বা শীর্ষ আধিকারিকদের নেকনজরে না পড়ার জন্য বহু অধস্তন কর্মীকে হয়রানির শিকার হতে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তাঁদের কাজে। এমনকী অফিসের মধ্যে কাজের পরিবেশও অনেকটাই বদলে যায়। এই প্রতিকূল পরিবেশের ফল ভোগ করতে হয় সংস্থাকেই। আমেরিকার পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় সম্প্রতি এই তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক লিউ-কুইন ইয়াং ৪২৭টি গবেষণাপত্রের তথ্য পর্যালোচনা করার পর এই বিষয়টির উল্লেখ করেছেন।
ইয়াংয়ের দাবি, কর্তাদের হেনস্তা বা হয়রানির ফলস্বরূপ কর্মীরা এমন সব আচরণ করেন যাতে অফিসেরই ক্ষতি হয়। যেমন সংস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অফিসে দেরিতে আসা, বিরতির থেকে বেশি সময় বাইরে কাটানো, কাজের জন্য যথাযথ মনোযোগী না হওয়া বা কাজে ভুল করার মতো একাধিক বিষয়ে জড়িয়ে পড়েন। এতে সামগ্রিকভাবে সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির এই গবেষকের মতে, কর্মস্থলে কর্তাদের এহেন ব্যবহারে সাধারণ কর্মীরা ভাবেন, তাঁদের প্রতি অবিচার হচ্ছে এবং এই ভাবনা প্রবল মানসিক চাপের জন্ম দেয়।
সহকারী অধ্যাপক লিউ-কুইন ইয়াংয়ের সমীক্ষার মূল বিষয় ছিল, কর্তাদের হয়রানির ফলে কেন প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীদের ব্যবহারের পরিবর্তন হয় এবং তাঁরা সংস্থার উন্নতির পরিপন্থী আচরণ করেন; এর কারণ অনুসন্ধান করা।
ইয়াং জানিয়েছেন, ‘মানসিক চাপ প্রায়শই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বদমেজাজি বসের অধীনে কাজ করলে কর্মীদের মধ্যে এই চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। এরজন্য কর্মীরা সংস্থার জন্য ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানসিক চাপের কারণে আপনার ঘুম কম হবে। আপনি দেরিতে অফিস যাবেন অথবা বিরতিতে বেশি সময় নেবেন। এতে স্বাভাবিকভাবে সংস্থার শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। সামগ্রিক কাজে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে।’