বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
নাসা জানিয়েছে, তাদের ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানগুলিতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে নতুন এই আবিষ্কার। আগামী দিনে চাঁদের এই জল মহাকাশচারীরা কাজে লাগাতে পারেন কি না, তা নিয়েও একাধিক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে এই আবিষ্কার। গত দশক পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা চাঁদকে একেবারে নিরস ও শুষ্ক বলেই মনে করতেন। সম্প্রতি, সেই ধারণা বদলাতে শুরু করেছে। নাসার জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এখন চাঁদের মাটি ‘রেগোলিথ’-এর খুব কাছে জলের অণুর পাতলা আস্তরণের সন্ধান পেয়েছেন। এলআরও থেকে ল্যাম্প-এর পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বুঝতে পেরেছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠের একদম কাছাকাছি ভেসে বেড়াচ্ছে জলের এই অণুগুলি। তবে, দিনের বিভিন্ন সময়ে এগুলির অবস্থান এবং পরিমাণ বদলে যায়। সাধারণত, চন্দ্রপৃষ্ঠের উঁচু জায়গাগুলিতেই সবচেয়ে বেশি দেখা মিলেছে এই অণুগুলির। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে সেগুলি স্থান পরিবর্তন করে। যেমন, দিনের শুরুতে রেগোলিথকে প্রায় আঁকড়ে থাকে অণুগুলি। আবার দুপুর হলে সেগুলি অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় সরে যায়।
এ প্রসঙ্গে প্ল্যানেটরি সায়েন্স ইনস্টিটিউটের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী আমান্ডা হেন্ড্রিক্স বলেন, ‘নতুন এই তথ্য চাঁদের জলচক্র বা ওয়াটার সাইকেলকে আরও ভালো করে বুঝতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানে মহাকাশচারীরা চাঁদের এই জল কোনওভাবে কাজে লাগাতে পারেন কি না, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালানো যাবে।’ ঠিক কীভাবে মহাকাশচারীদের কাজে লাগবে চাঁদের এই জল? আমান্ডার উত্তর, ‘জ্বালানি তৈরি বা তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ থেকে বাঁচতে এর ব্যবহার করা যেতে পারে। তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতেও এই জল কাজে লাগতে পারে।’ তাঁর সাফ কথা, যদি এর জন্য পৃথিবী থেকে সবকিছু বয়ে নিয়ে যেতে না হয়, তাহলে সেই মহাকাশ অভিযানগুলি অনেকটাই সস্তা হবে।’
টেক্সাসের সাউথ-ওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক মাইক পোস্টন অ্যাপোলো অভিযান থেকে পাওয়া তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করে চাঁদের জল বিস্তর গবেষণা চালিয়েছিলেন। বর্তমানে ল্যাম্প-এর দলেও রয়েছেন তিনি। পোস্টনের মতে, অতীতে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, সৌরবায়ু বা সোলার উইন্ডের মধ্যে থাকা হাইড্রোজেন আয়নই চন্দ্রপৃষ্ঠের জলের উৎস। তাই আবর্তিত হতে হতে একসময় চাঁদ যখন পৃথিবীর আড়ালে চলে যায়, তখন এই জলের অণুগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কারণ, তখন পৃথিবীকে টপকে সৌরবায়ু চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। কিন্তু, ল্যাম্প যে জলের অণুর সন্ধান দিয়েছে, তা কিন্তু পৃথিবীর আড়ালে গিয়েও সক্রিয় থাকে। ফলে এখন বিজ্ঞানীরা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন যে, ওই জলের অণুগুলি সৌরবায়ুর হাইড্রোজেন আয়ন থেকে তৎক্ষণাত তৈরি হয় না। সেগুলি দিনের পর দিন ধরে তৈরি হয়েছে।