বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিমান হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে জয়েশ ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। একদিন পরেই আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভারতের সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নয়াদিল্লির দাবি, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভেঙেও পড়ে। কিন্তু গত বুধবার এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহারের অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ইসলামাবাদ। পাল্টা আসরে নামে ভারতও। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া ‘আমরাম’ মিসাইলের টুকরো দেখিয়ে দাবির সপক্ষে প্রমাণ দেয় নয়াদিল্লি। এরপরেই মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়।
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার বিষয়টি পাকিস্তান অস্বীকার করলেও এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন এই যুদ্ধবিমান ব্যবহারের জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু পাকিস্তান ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি বলে অভিযোগ। যার ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইসলামাবাদের উপর মার্কিন চাপ আরও বাড়াতেই ভারতের তরফে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের যাবতীয় প্রমাণ পেশ করা হয়েছে বলে খবর। যদিও মার্কিন সরকারের তরফে এই ধরনের কোনও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কি না, তা জানা নেই বলে দাবি করেন আসাদ মাজিদ খান। সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিস-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, ‘এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ভারত অনেক কিছু নিয়ে অভিযোগ করেছে। সবকিছু আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কোনও তথ্য চাওয়া হয়েছে, এমন কিছু আমার জানা নেই।’ ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করায় পাকিস্তান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে কি না, প্রশ্ন ওঠে। জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পাকিস্তান এই ধরনের কোনও চুক্তিতে আবদ্ধ কি না, সেটাই প্রশ্ন। আমি ওই চুক্তি দেখিনি। সেই কারণে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করাও সম্ভব নয়।’