বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পেন্টাগনের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। যা আমেরিকার বিদেশ নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। ট্রাম্প প্রশাসন যে দু’টি অত্যাধুনিক সিস্টেম ভারতকে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে, সেগুলির নাম ‘লার্জ এয়ারক্র্যাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টারমেজার্স’ (এলএআইআরসিএম) ও ‘সেল্ফ-প্রটেকশন সুটস’ (এসপিএস)। যার অনুমানিক মূল্য ১৯ কোটি মার্কিন ডলার। বুধবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থার (ডিএসসিএ) তরফে একথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই দু’টি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি ব্যবস্থা হাতে পাওয়ার জন্য সম্প্রতি আমেরিকার কাছে আবেদন জানিয়েছিল ভারত। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই ভারতে এই প্রযুক্তি ব্যবস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। পেন্টাগন বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেরকম ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’ বিমান ব্যবহার করেন, সেই ধাঁচে ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’ নামে দু’টি বোয়িং-৭৭৭ বিমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির জন্য এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানো হবে। সেই উদ্দেশ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছ থেকে দু’টি বোয়িং বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ভবিষ্যতে এই দু’টি বিমান সুনির্দিষ্টভাবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সফরের জন্যই ব্যবহার করা হবে। অতীতের মতো এগুলিকে আর বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে পারবে না এয়ার ইন্ডিয়া। এলএআইআরসিএম প্রযুক্তির ফলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিমানকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিমানকর্মীদের কাছে অনেক দ্রুত সতর্কতার সঙ্কেত চলে আসবে। ভুয়ো সতর্কবার্তার পরিমাণ কমিয়ে আনবে। শুধু তাই নয়, শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করবে স্বয়ংক্রীয়ভাবে। এজন্য বিমানকর্মীদের কিছুই করতে হবে না। মার্কিন বিজ্ঞানীদের ফেডারেশনের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মিসাইল ওয়ার্নিং সাব-সিস্টেম কাজ করবে অসংখ্য সেন্সরের মাধ্যমে। বিমানচালকের কাছে বার্তা চলে আসবে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিপদ শনাক্ত করে তা বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ডিএসসিএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতকে কোনও রকম সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। এক্ষেত্রে বরাত পাওয়া প্রধান সংস্থা হবে বোয়িং কোম্পানি। অফসেট সংস্থা সংক্রান্ত চুক্তি হবে বরাত পাওয়া প্রধান সংস্থা ও ক্রেতা হিসেবে ভারত সরকারের মধ্যে।