বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন পুতিন বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, এই চুক্তিতে তাঁরা আর অংশগ্রহণ করবেন না। আমরাও আমাদের অংশগ্রহণ বাতিল করছি। রাশিয়ার বিদেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন আরও বলেন, নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার আর কোনও উদ্যোগ নেবে না মস্কো। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যতদিন না আমাদের ‘সহযোগী’রা সামঞ্জস্যপূর্ণ ও অর্থবহ আলোচনা চালানোর মতো পরিণত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে, ততদিন আমরা অপেক্ষা করব।
ট্রাম্পের গতকালের ঘোষণার পক্ষে আমেরিকার বক্তব্য হল, রাশিয়ার মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ফলে আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে। যদিও মস্কোর বক্তব্য, তারা চুক্তির লঙ্ঘন করেনি। গতমাসে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল, বিদেশি সাংবাদিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পারেন। সেই সঙ্গেই এর আগে পুতিন হুমকি দিয়েছিলেন, চুক্তি যদি খারিজ করা হয়, তাহলে এই চুক্তিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে রাশিয়া। আমেরিকা যদি চুক্তি থেকে সরে এসে আরও ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপে মোতায়েন করে, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ করবে রাশিয়াও। ইউরোপের কোনও দেশ যদি আমেরিকাকে তাদের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার অনুমতি দেয়, তাহলে তাদের রাশিয়ার হামলার মুখে পড়তে হতে পারে।
উল্লেখ্য, ঠান্ডা যুদ্ধের শেষদিকে এই আইএনএফ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল আমেরিকা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন ও সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভের মধ্যে। ওই চুক্তিতে ৫০০ কিলোমিটার থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পাল্লা বিশিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সময় পশ্চিমী দেশগুলির রাজধানী নিশানায় রেখে সোভিয়েতের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে সেই সঙ্কটের সমাধান হয়। তবে চুক্তিতে চীনের মতো অন্য বড় সামরিক শক্তিগুলির উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপিত হয়নি।