বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রশ্নে ক’দিন আগেই মাত্রাতিরিক্ত আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল চীনের প্রেসিডেন্টকে। বুধবার তাঁর মন্তব্য ছিল, তাইওয়ানের ‘সংযুক্তিকরণে’র জন্য এবং এই দ্বীপভূমির স্বাধীনতা ঠেকাতে সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহারের অধিকার চীনের আজও রয়েছে। জিনপিংয়ের এই মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক একটি পদক্ষেপ। তাইওয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘এশিয়া রিঅ্যাসিওর্যান্স ইনিশিয়েটিভ’ আইনে স্বাক্ষর করেন তিনি। আমেরিকার তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে চীনের প্রতি পাল্টা সুর চড়ান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টও। তিনি বলেন, জীবনধারণ ও গণতন্ত্র রক্ষার অধিকার তাইওয়ানের রয়েছে। কাজেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল ক’দিন আগে থেকেই। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিং যে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়াতে চাইছে, সেই ইঙ্গিতও আসতে শুরু করেছিল। এই অবস্থায় চাপে পড়ে শুক্রবার চীনা সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জিনপিং। দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যানও তিনি। অর্থাৎ চীনের ‘রেড আর্মি’র সর্বেসর্বা। শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকেই চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। চীনা প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, দেশকে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পরিবর্তিত সময়ের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন কৌশলের উদ্ভাবন করতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে। যুদ্ধে ঝাঁপানো ও তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির দায়িত্ব নিতে হবে সেনাবাহিনীকে। বর্তমানে বড় ধরনের একঝাঁক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পৃথিবী। গত এক শতাব্দীতে যা দেখা যায়নি। তাই যুদ্ধের জন্য নতুন ধরনের বাহিনী গড়ে তোলাও আবশ্যক।