বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মেক্সিকোর সঙ্গে নিরাপত্তা ‘দেওয়াল’ নির্মাণের জন্য ট্রাম্পের দাবি অনুসারে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর দাবি মতো অর্থ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও বাজেট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরাও জানিয়ে দিয়েছেন, ১৩০ কোটি ডলারের চেয়ে এক পয়সাও বেশি দিতে তারা সম্মত হবেন না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সীমান্ত–দেওয়ালে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দে মার্কিন কংগ্রেস একমত না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত থমকে রয়েছে। তার উপর বৃহস্পতিবার থেকে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণভার চলে যাচ্ছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের হাতে। গত দু’বছর কংগ্রেসের উভয়কক্ষই ছিল ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসনের সমক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় শাখা হলেও রিপাবলিকান কংগ্রেস ট্রাম্পের প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন অবস্থা বদলে যাবে, তা ট্রাম্পও বুঝতে শুরু করেছেন। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন ছাড়া কোনও প্রস্তাব পাশ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।
মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমঝোতা প্রায় করেই ফেলেছিলেন। তবে সমর্থকদের কটাক্ষে আবার আগের অবস্থানে ঘুরে গিয়েছেন ট্রাম্প। সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। সেই প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে বাজেট সমঝোতার প্রশ্নে ট্রাম্পকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলতেও ছাড়েননি কট্টরপন্থীরা। সমর্থকদের মন রক্ষা করতে সচেষ্ট ট্রাম্প, তবে এ জন্য মূল্য চোকাতে হচ্ছে মার্কিন ফেডারেল সরকারকে। ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে আমেরিকার ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখনও তা স্বাভাবিক হয়নি।
ডেমোক্র্যাটরা এই ‘শাট-ডাউন’-এর জন্য সব দায় চাপিয়েছেন ট্রাম্পের ঘাড়ে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে এক প্রকাশ্য বৈঠকে ট্রাম্প জানান, সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য তিনি সরকারের কাজকর্ম বন্ধ করে দিতে প্রস্তুত। এই কাজের জন্য তিনি গর্বিত বোধ করবেন। কিন্তু তাঁর অনুগত সমর্থকরা ছাড়া রিপাবলিকান দলের প্রধান নেতাদের কেউই ট্রাম্পের এই শাট-ডাউনের সমর্থনে এগিয়ে আসেননি। ডেমোক্র্যাটদেরও একগুঁয়ে মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সমঝোতার একটি চেষ্টা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব রেখেছিলেন, আড়াই বিলিয়ন ডলার দিলেই ট্রাম্প সন্তুষ্ট হবেন। কিন্তু সে প্রস্তাবও ডেমোক্র্যাটরা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
নতুন কংগ্রেসের প্রধান চ্যালেঞ্জ মার্কিন সরকারের আংশিক শাট-ডাউন নিরসন করা। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে এই নিয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। আর অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত না হওয়ায় বাধ্যতামূলক ছুটি বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন লাখ লাখ সরকারি কর্মী।
যাঁরা তাঁকে ঘৃণা করেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের নতুন বছরের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ‘ফেক মিডিয়া’—যারা নিত্যদিন ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর, তাদেরও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘শান্ত থাকো। আমেরিকার যে উন্নয়ন আসছে, তা নিয়ে আনন্দ কর।’ তাঁর ভাষায়, সামনে অনেক বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে আমেরিকায়।