বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ছোট থেকেই সংখ্যার প্রতি গভীর টান আরভ অজয়কুমারের। মাত্র দু’বছর বয়স থেকেই হাজার পর্যন্ত সংখ্যা গোণা শুরু করে দেয় আরভ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মেধার তীক্ষ্ণতা। দু’বছর পর, ‘হাই আইকিউ সোসাইটি’ মেনসায় অন্তর্ভুক্ত হয় আরভ। চার বছর বয়সি এই খুদের আইকিউ লেভেল তখন ১৫২। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আট বছর বয়সি আরভের এই সাফল্যে অত্যন্ত খুশি তার মা বর্ষা অজয়কুমার বলেন, ‘খুব ছোট থেকেই সমস্ত জায়গায় সংখ্যা খুঁজত আরভ। যে কোনও কিছুকে যুক্তিপূর্ণভাবে বিচার করার চেষ্টা করত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও লাইনে ভগ্নাংশ খুঁজে বার করার খেলা আরভের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। ও খুব দ্রুত তা খুঁজে বার করে ফেলত। ওর মস্তিষ্ক চলে অনেকটা কম্পিউটারের ধাঁচে। কিন্তু কীভাবে ও তা পারে, সেই বিষয়টি আমি কখনই বুঝে উঠতে পারিনি।’ আই কিউয়ের বিচারে ব্রিটেনের ০.০৩ শতাংশ তীক্ষ্ণমেধা মানুষের মধ্যে পড়ে আরভ। তার আই কিউ লেভেল প্রায় অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বা স্টিফেন হকিংয়ের সমতুল।
দি ইউকে প্রাইমারি ম্যাথস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ব্রিটেনের ন’বছর থেকে ১২ বছর বয়সি পড়ুয়ারা। বয়সে এক বছরের ছোট হয়েও সেই প্রতিযোগিতায় সেরার খেতাব জিতে নিয়েছে আরভ। ছেলের এই সাফল্য প্রসঙ্গে বর্ষা অজয়কুমার বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়া বা অঙ্কে আরভের দক্ষতায় আমি অত্যন্ত খুশি। কিন্তু এখনও ওকে অনেকটা পথ যেতে হবে। পরে ও যদি সত্যিই কোনও বড় কৃত্বিত্ব স্পর্শ করতে পারে, তাহলেই খুশি আমি। কিন্তু এত অল্প বয়সে স্কুলের মধ্যে আরভের সেরার স্বীকৃতি পাওয়া বা অঙ্ক প্রতিযোগিতায় সোনা জেতার ঘটনায় আমি তৃপ্ত। স্কুলের শিক্ষকরাও আরভকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করেছেন।’
অঙ্কের প্রতি আরভের তীব্র আকর্ষণের বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কিছুটা ধোঁয়াশায় রয়েছেন বর্ষা অজয়কুমার। তিনি বলেন, ‘লজিক পাজল ভালো লাগলেও অঙ্কের প্রতি কখনই আমার খুব বেশি আকর্ষণ ছিল না। আমার বাবা অঙ্কে ভালো হলেও আরভ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।’ অবসর সময়েও অঙ্কের জগতে ডুবে থাকে আরভ। অঙ্ক সম্পর্কিত বিভিন্ন বই পড়ে সময় কাটাতে পছন্দ করে সে।
নিজের অঙ্কপ্রীতি প্রসঙ্গে আরভ বলে, ‘দুই বছর বয়স থেকেই অঙ্ক আমার প্রিয়। আমি বাড়িতে বসে বিভিন্ন বই পড়ে কীভাবে অঙ্কের সমাধান করা যায়, সেই চেষ্টা করতাম। অঙ্কতে একটিই সঠিক উত্তর মেলে। এই বিষয়টি আমার অত্যন্ত পছন্দের।’ অঙ্কের প্রতি আরভের আকর্ষণ প্রসঙ্গে স্টোনিগেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক জন ডবসন বলেন, ‘আরভের এই কৃতিত্বে আমরা গর্বিত।’
আট বছর বয়সি এই খুদের সাফল্যে অবশ্য বিশেষ অবাক হননি মেনসা ডঃ পিটার কঙ্গডন। তিনি বলেন, ‘আইকিউ লেভেল ১৩০ বা তার বেশি হলে আমরা কাউকে বিশেষ মেধাসম্পন্ন বলে বেছে নিই। সেখানে আরভের আইকিউ লেভেল ১৫২। তাই ওর এই সাফল্যে আমি অন্তত অবাক হইনি।’