বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বিএনপির ভবিষ্যৎ জিইয়ে রাখলেও সন্ত্রাস ইস্যুতে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদের উপর ভিত্তি করে কোনও নির্বাচনে জয়লাভ করা যায় না। তাঁর দল আওয়ামি লিগ উন্নয়নের পথে হেঁটেই তৃতীয়বারের জন্য বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা দখল করেছে। পাশাপাশি, ২৮৮ আসন লাভের পিছনে বিপুল রিগিং হয়েছে বলে বিএনপির দাবি এককথায় উড়িয়ে দিয়েছেন হাসিনা। তাঁর বক্তব্য, যদিও কোথাও গলদ থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিক। ৪০ হাজার বুথের মধ্যে মাত্র ১৭টি থেকে ঝামেলার খবর মিলেছে। এটা কোনও সংখ্যাতেই আসে না।
বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরোধী দল কি প্রাসঙ্গিকতা হারাল? বিরোধী নেত্রীই এখন জেলে। এই প্রশ্নের উত্তরে সদ্য ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে হবেন? বিরোধী জোটের নেতা কে হবেন? কিছুই ঠিক ছিল না। তা সত্ত্বেও গত নির্বাচনে কংগ্রেসকে মানুষ ভোট দিয়েছেন। প্রচুর আসন পেয়ে তিন রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। গণতন্ত্রে এটাই নিয়ম। কিন্তু বিরোধী দলের নেত্রী এখন দুর্নীতির অভিযোগে জেলে। তাঁর ছেলে বিএনপির অন্যতম নেতা একই অভিযোগে পলাতক। বিএনপির জোটসঙ্গী যুদ্ধাপরাধী। এরপর তারা কীভাবে আশা করে সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন?
তৃতীয়বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এদিন হাল্কা মেজাজেই বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে সময় কাটালেন শেখ হাসিনা। সবার সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মেতে থাকলেন। আবার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গ উঠতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। বিএনপির জোটসঙ্গী জামাত-ই-ইসলামিকে আক্রমণ করে বললেন, ওরা আমার বাবা-পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে। আমাদের দলের একাধিক কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। এই নির্বাচনেও ওদের হত্যালীলা থেকে বাদ পড়েননি আমাদের কর্মীরা। এসব আমরা মনে রাখতে চাই না। প্রতিহিংসার রাস্তায় আমরা হাঁটব না। তিনি সবার প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য দেশের অর্থনীতির বিকাশ। আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁর সরকার যে আগামী দিনে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাবে, তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।