বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সঞ্জীবকে খুনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ছক তৈরি করা হয়েছিল। গত দু’মাস লখনউয়েই ঘাঁটি গেড়েছিল সে। বেসরকারি একটি সংস্থায় কাজও জুটিয়ে নিয়েছিল। হামলার আগে দু’সপ্তাহ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও রাখেনি শামলির বাসিন্দা বিজয়। গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির ঘনিষ্ট সঞ্জীবকে খুনের আগে একাধিকবার কোর্টচত্বরে রেকি করেছিল সে। আদালতের খুঁটিনাটি ছিল তার নখদর্পণে। কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কোর্ট চত্বরে ঢুকতে হবে, কীভাবে নিখুঁত নিশানায় খতম করা হবে জীবাকে—এসবেরই একাধিকবার মহড়া দিয়েছিল অভিযুক্ত। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে জেল হয়েছিল বিজয়ের।
এদিন সঞ্জীবের পোস্টমর্টেম রিপোর্টও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে জানা গিয়েছে, জীবাকে লক্ষ্য করে ছ’টি গুলি ছোড়া হয়েছিল। তারমধ্যে চারটি তাঁর বুকে লেগেছে। বুকে নীচের দিকে বাকি দু’টি। তাঁকে হত্যার জন্য ম্যাগনাম আলফা রিভলভার ব্যবহার করেছিল আততায়ী। এদিকে, বুধবারের শ্যুটআউটের পর কোর্ট চত্বরের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে লখনউজুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরমধ্যে স্বামীর শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সঞ্জীবের জেলবন্দি স্ত্রী।