বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এই প্রকল্প খাতে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি একটি মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। নির্দেশে বেঞ্চ জানায়, কেন্দ্র কেন ১০০ দিনের টাকা বকেয়া ফেলে রেখেছে, আগামী ২০ জুনের মধ্যে তা হলফনামা আকারে জানাতে হবে। বিগত অর্থবর্ষগুলির বকেয়া মেটাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও হলফনামায় উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। প্রকল্প রূপায়ণে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, হলফনামা আকারে তা রাজ্যকেও জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এই খাতে কোনও অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র। তাদের যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ২০২২ সালের ৯ মার্চ রীতিমতো নির্দেশনামা জারি করে কেন্দ্র টাকা আটকে দেওয়ার কথা জানায়। তখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় খেতমজুর সমিতি। তাদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে এবং প্রকল্প বাবদ নতুন করে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।
এদিন মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না জবকার্ড হোল্ডাররা। শুধু তাই নয়, আইন থাকলেও প্রকল্প বাবদ কোনও বরাদ্দ হচ্ছে না। অথচ এক্ষেত্রে কেন্দ্র, রাজ্য উভয়েরই দায়িত্ব রয়েছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের বক্তব্য জানতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, আইন অনুযায়ী এই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের। তাদের তরফে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই মতো একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য। সেই সংক্রান্ত একাধিক ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রকে। কিন্তু কেন্দ্র নিরুত্তর। কেন্দ্রের তরফে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল আদালতে বলেন, এই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্য সঠিক পদক্ষেপ না করায় আইন অনুযায়ী অর্থ বন্ধ করা হয়েছে। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে, পদক্ষেপ নিন। শস্য থেকে তুষ ঝেড়ে ফেলুন। টাকা আটকে রেখে এভাবে যোগ্যদের বঞ্চিত করা যায় না। ...রাজ্যের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন।’ এরপরই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা হলফনামা আকারে ২০ জুনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। জুলাই মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি।