নিজস্ব প্রতিনিধি, বাহানাগা: ‘মৃত্যুর গন্ধ’ এখনও বাতাস থেকে মিলিয়ে যায়নি। তার মধ্যেই দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর, রবিবার রাতে বাহানাগা দিয়ে প্রথম চাকা গড়ায় রেলের। সামনে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার ভোরে চলল যাত্রীবাহী ট্রেন। দুর্ঘটনার পর প্রথম ট্রেন হিসেবে বাহানামা বাজার স্টেশন পার করে আপ হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। তারপর একে একে ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সহ চলেছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। ধীর গতিতে পার করানো হয় দুর্ঘটনাস্থল। বহু মানুষ ট্রেনের জানালা দিয়ে তাকিয়েছিলেন উল্টে পড়ে থাকা ভাঙাচোরা বগিগুলির দিকে। কেউ তোলেন সেল্ফি, কেউ বা বিড়বিড় করে ওঠেন ... ‘জগন্নাথ জগন্নাথ’।
রবিবার রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, বুধবারের আগে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বাহানাগা। সোমবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, আপ লুপ লাইনে কাজ চলছে। এদিন দুপুরে কমিশনার অব রেল সেফটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ট্রেন চালু হওয়ায় এদিন ছোট্ট বাহানাগা বাজার স্টেশনে ছিল জোর তৎপরতা। আধিকারিক, নিরাপত্তা রক্ষীদের ভিড়, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠছিল বাহানাগা প্ল্যাটফর্ম। আর ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় দূরপাল্লার ট্রেন।
বাহানাগা বাজার স্টেশন পেরচ্ছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। -পিটিআই