কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রয়াগরাজে গঙ্গার চড়ায় কবর দেওয়া যে থামেনি, নতুন করে দেহ বেরিয়ে আসার ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। এনজিটি ও স্থানীয় প্রশাসন চড়ায় কবর দেওয়ার উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল। যদিও স্থানীয়দের বক্তব্য, এই এলাকায় এটা বহুদিনের প্রচলিত প্রথা। প্রয়াগরাজের মেয়র বলছেন, মানুষকে সচেতন করা সত্ত্বেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
গঙ্গার চড়ায় সবচেয়ে বেশি মৃতদেহের দেখা মিলেছে ফাফামৌ ঘাটে। জানা গিয়েছে, এনজিটি ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রচলিত প্রথার নাম করে প্রতিদিনই বালির মধ্যে কবর দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। বর্ষা আসতে আর খুব দেরি নেই। গঙ্গায় জলস্তর বাড়লে চড়া ডুবে গিয়ে দেহগুলি নদীতে ভেসে যেতে পারে। ফলে বড় ধরনের দূষণের আশঙ্কা থাকছে। করোনাকালেও প্রয়াগরাজে গঙ্গার চড়ায় একইভাবে সারি সারি দেহের হদিশ মিলেছিল। শোরগোল শুরু হওয়ায় প্রশাসনের তরফে বহু দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও পুরসভার তরফে বলা হচ্ছে, প্রয়োজনে দেহগুলি দাহ করার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনের একটা অংশের দাবি, নদীর চড়ায় এইভাবে দেহ কবর দেওয়ার অন্যতম কারণ দারিদ্র্য। দাহ করার মতো টাকা না থাকায় বহু গরিব পরিবার প্রথার নাম করে মৃতদেহ কবর দিয়ে দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই বালি সরে গিয়ে দেহগুলি বেরিয়ে পড়ে। নতুন করে শোরগোল শুরু হওয়ায় ফাফামৌ পুলিস গঙ্গার ঘাটে একজন হোমগার্ডকে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছে। পুরসভার কয়েকজন আধিকারিকও ওই এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন।