কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সূত্রের খবর, সাহিলের মানসিক সুস্থতার পরীক্ষা করানো হবে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তাকে পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও জীবনযাপন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হবে। এদিকে নিহত কিশোরীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইটবার্তায় তিনি বলেছেন, কিশোরীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সরকারের এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে।
পুলিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর বারবার বয়ান বদল করছিল সাহিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও বহু তথ্য এসেছে তাদের হাতে। সব দিক খতিয়ে দেশে তদন্তকারীরা মনে করছেন, মোটেই রাগের মাথায় প্রেমিকা খুন করেনি সাহিল। বরং বেশ কিছুদিন ধরেই সে রীতিমতো ছক কষছিল। ১৫ দিন আগে হরিদ্বার থেকে ছুরি কেনে পেশায় এসি মেকানিক সাহিল।
তাকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, খুনের পর পার্কে বিশ্রাম নিয়ে সে রিঠালায় যায়। সেসময়ই রাস্তার ধারের একটি জঙ্গলে ফেলে দেয় খুনে ব্যবহৃত ছুরিটি। তারপরই সুইচ অফ করে দেয় নিজের মোবাইল ফোন। এখনও পর্যন্ত অবশ্য সেই ছুরি ও মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিস।
পুলিসের দাবি, রিঠালা থেকে টোটোয় চেপে সময়পুরের দিকে রওনা দেয় সাহিল। সেখানে একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে রাত কাটায়। পরদিন সকালে সেখান থেকে আনন্দ বিহারের বাস ধরে। তবে গ্রেপ্তারি এড়াতে মাঝপথে বাস বদলায় সে।
গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দ শহর থেকে সাহিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কিন্তু ধরা পড়ার পর তার মধ্যে কোনও অনুশোচনা ছিল না বলে দাবি তদন্তকারীদের। রবিবার অন্তত ২০বারের বেশি ছুরির কোপ মেরে ও পাথরের চাঁই দিয়ে থেঁতলে প্রেমিকাকে সে খুন করে বলে অভিযোগ।