পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জগন্মোহন-শর্মিলার বাবা প্রয়াত রাজশেখর রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর পর জগন্মোহন মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইলেও কংগ্রেস রাজি হয়নি। ওয়াইএসআরসিপি নামে নতুন দল গড়ে রাজনৈতিক ময়দানে নামেন জগন্মোহন রেড্ডি। ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী। গোড়ায় তাঁর দলের সঙ্গেই বোন শর্মিলা থাকলেও পরে বিবাদ বাড়ে। মা ওয়াই এস বিজয়াম্মার সঙ্গে মিলে নিজের দল গড়েন শর্মিলা। তবে রাজনীতির জন্য বেছে নিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হওয়ায় তেলেঙ্গানায়।
চলতি বছরে ভোট দক্ষিণের এই রাজ্যে। এখানে বিআরএস সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়েই (কেসিআর) দাপটই বেশি। ১১৯ আসন বিশিষ্ট তেলেঙ্গানায় ২০১৮ সালের ভোটে বিআরএসের (তখন দলের নাম ছিল টিআরএস) ৮৮ জন জেতে। কংগ্রেস ১৯। কিন্তু সময়ান্তরে দল বদলের জেরে পাল্লা ভারী হয় বিআরএসের। এখন যাদের বিধায়ক সংখ্যা ১০৩। কংগ্রেস সাকুল্যে ঠেকেছে পাঁচে। তাই এবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন না দেখলেও তেলেঙ্গানায় নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়াতে চাইছে কংগ্রেস। মাঠে নামছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শর্মিলাকে শামিল করতে পারলে কংগ্রেসের নির্বাচনী লড়াই অনেকটাই বদলে যেতে পারে বলেই হাইকমান্ডের ধারনা। তাই মোদি বিরোধী মহাজোটে কেসিআরকে শামিল করানোর জন্য একদিকে চেষ্টা চললেও তেলেঙ্গানায় কোনও জোট হবে না বলেই ঠিক করেছে কংগ্রেস। তবে নিজেদের একার ক্ষমতায় যে তেলেঙ্গানার মাটিতে দাপট তো দূর, দাগই কাটা যাবে না, তা ভালোই জানেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাই প্রিয়াঙ্কাকে দিয়ে লড়াকু শর্মিলাকে দলে টানার চেষ্টা চলছে। তলে তলে উভয়ের আলোচনা শুরু হয়েছে বলেই সূত্রে খবর। সম্প্রতি কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে শর্মিলার সাক্ষাৎ কি তবে সেই চেষ্টার অঙ্গ? কাজ করছে প্রিয়াঙ্কার প্ল্যান? কংগ্রেসের ‘লেডি লাক?’ কৌতুহল রাজনৈতিক মহলে।