বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চলতি বছরেই মধ্যপ্রদেশে ভোট। মধ্যপ্রদেশে ২০১৮ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪। সরকার গড়ার ‘ম্যাজিক সংখ্যা’র চেয়ে দুই কম। নির্দল আর সমাজবাদীর সমর্থনে কমলনাথ সরকার গড়লেও বছর খানেক পর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে ২১ জন কং-বিধায়ক দল ছাড়ে। কমলনাথ সরকার পড়ে যায়। তাই এবার ম্যাজিক সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি আসনই লক্ষ্য রাহুলের।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথকে পাশে রেখে এআইসিসিতে বৈঠকের পর রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিলেন কর্ণাটক মডেলেই এখানে লড়া হবে। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলবে না। বললেন, ‘কর্ণাটকে যেভাবে ১৩৬ আসন জিতেছি, একইভাবে মধ্যপ্রদেশেও ১৫০ আসনে জিতব।’ আত্মপ্রত্যয়ের সুর শোনাল রাহুল গান্ধীর গলায়। কমলনাথ বলেন, ‘সবাই একজোটই লড়ব। গতবারেই মতোই জিতব। আরও বেশি আসন নিয়ে।’ তবে রাহুলের এই আত্মপ্রত্যয়কে ‘দিবাস্বপ্ন’ বলেই কটাক্ষ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। কংগ্রেসকে তাঁর কটাক্ষ, স্বপ্নে ওরা পোলাও খাওয়ার কথা যতই ভাবুক, বিজেপি এবার মধ্যপ্রদেশে দুশোর বেশি আসন পাবে।’
মধ্যপ্রদেশ নিয়ে বৈঠকের পরেই রাহুল পাড়ি দিলেন বিদেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্তা ক্লারার এক হোটেলে আজ এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘মহব্বত কি দুকান।’ স্রেফ রাহুলই নন। মা সোনিয়া এবং বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও গিয়েছেন বিদেশ। সোনিয়া আমেরিকায়। রুটিন চেকআপ। প্রিয়াঙ্কা লন্ডন হয়ে আমেরিকা।
গান্ধীদের অনুপস্থিতিতে দলের হাল সামাল দিতে মল্লিকার্জুন খাড়্গে প্রাণপন চেষ্টা করছেন। বিশেষত, তাঁর মাথাব্যথা রাজস্থান। অশোক গেহলট-শচীন পাইলট ইস্যুতে নাজেহাল কংগ্রেস। তাই নির্বাচনী লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে প্রদেশ নেতৃত্বের বৈঠক ডেকেও তা নমো নমো করে সারতে হল। গেহলট এবং পাইলট, আলাদা করে এক একজনের সঙ্গে বৈঠক করতে হল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। গেহলটকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও পাইলটকে বোঝানোর চেষ্টা চলল।