বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত মণিপুরে থাকবেন অমিত শাহ। স্থানীয় ও রাজ্য পুলিসের সঙ্গে দফায় দফায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। পাশাপাশি আলোচনায় বসবেন যুযুধান মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর সঙ্গেও। শাহের এই সফর নিরাপত্তার কড়া গণ্ডিতে মুড়ে ফেলতে কোনও খামতি রাখেনি এন বীরেন সিং সরকার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে। তাঁর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের উপস্থিতিতে একাধিক বৈঠক হয়। রবিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জঙ্গিদমনে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে উত্তাল পরিস্থিতিতে এতদিন পর কেন সে রাজ্যে গেলেন শাহ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, মণিপুরে হিংসা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এ রাজ্যের ঘটনাবলি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাতে আজ, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে যাবে মল্লিকার্জুন খাড়্গে সহ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনকে কটাক্ষ করেছেন রমেশ। তিনি বলেন, ‘উনি রাজ্যাভিষেক নিয়ে ব্যস্ত, একবারও রাজ্যের মানুষকে শান্ত, সংযত থাকতে বললেন না।’
মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে বিগত প্রায় ১ মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। হিংসার সেই আগুনেই ক্রমশ ঘি ঢালছে ইম্ফল উপত্যকার পাহাড়ি এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। ক্রমাগত তারা আক্রমণ চালাচ্ছে মেইতেই সম্প্রদায়ের উপর। রবিবার ভোররাতে উপত্যকার কাছে অন্তত পাঁচ জায়গায় হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা।
শনিবার রাত থেকেই সেনা ও আধা সেনাবাহিনীর সদস্যরা ইম্ফল উপত্যকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে চালিয়ে যাচ্ছে চিরুনি তল্লাশি। রাজধানী ইম্ফল থেকে পার্বত্য জেলাগুলিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহনের সমন্বয়ের জন্য নোডাল অফিসারদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইম্ফলের পূর্ব জেলায় সেনাবাহিনীর উপর হামলার পরিকল্পনা করছিল জঙ্গিরা। তাদের উদ্দেশ্যে জল ঢেলে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি মহিলা ও শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি সেনার। তবে লাগাতার তল্লাশির জেরে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত খানিক কমেছে।