গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিদ্বেষমূলক ভাষণ নিয়ে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজ্য সরকার এফআইআর দায়ের করছে না। এই অভিযোগে আদালত অবমাননার একটি আর্জি জমা পড়েছে। বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ বলেছে, ‘নেতারা যখন রাজনীতি এবং ধর্মকে মিশিয়ে ফেলেন, তখনই সমস্যার সূত্রপাত। ধর্ম থেকে রাজনীতিকে আলাদা করে দিলেই সব সমস্যা মিটে যাবে।’ রাজনীতি, ধর্ম এবং বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের যোগসাজশকে ‘দুষ্ট চক্র’ বলেও মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি জোসেফ বলেছেন, ‘প্রত্যেক দিন অবাঞ্ছিত লোকজন টিভিতে, প্রকাশ্য সভায় এমন সব মন্তব্য করছেন, যা অন্যদের পক্ষে অবমাননাকর। সহ নাগরিক বা অন্য সম্প্রদায়ের সম্মানহানি হয়, এমন মন্তব্য থেকে দূরে থাকার অঙ্গীকার কেন করতে পারেন না দেশের মানুষ? সহিষ্ণুতা কী? সহিষ্ণুতার অর্থ মতপার্থক্যকে স্বীকার করা।’ বিচারপতি নাগরত্নের পর্যবেক্ষণ, আমরা কোথায় যাচ্ছি? একটা সময় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও অটলবিহারী বাজপেয়ির মতো বক্তারা ছিলেন। তাঁদের ভাষণ শুনবেন বলে গ্রামগঞ্জের মানুষ ভিড় করতেন। আর এখন সর্বত্র অবাঞ্ছিত মন্তব্যের বন্যা বইছে। আমরা কি তাহলে দেশের সব নাগরিকের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করব? উপযুক্ত জ্ঞান ও শিক্ষার অভাবেই অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ এপ্রিল।