গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্বাভাবিকভাবেই এরপর কলকাতা সহ দেশের অন্যান্য মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও ট্রেনের গতি বৃদ্ধির পথে হাঁটবে কি না, সে ব্যাপারে জল্পনা শুরু হয়েছে। কলকাতা মেট্রো সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, বর্তমানে ‘ওল্ড ট্র্যাক’-এ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো সম্ভব। কিন্তু যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে তা ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, দেশের অন্যান্য যে শহরেও মেট্রো রেলের সর্বোচ্চ গতি কখনওই ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮০ কিলোমিটারের উপর ওঠে না। অর্থাৎ, দিল্লি মেট্রোর এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনে কার্যত ইতিহাস তৈরি হল। অন্তত এমনই দাবি দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের (ডিএমআরসি) শীর্ষ আধিকারিকদের।
বর্তমানে দেশের রাজধানী শহরের দিল্লির গণপরিবহণ ব্যবস্থার অন্যতম লাইফলাইন মেট্রো রেল। এর মধ্যে ২০১১ সালে চালু হওয়া এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ব্যবহার করে অত্যন্ত কম সময়ে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিল্লি বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল পৌঁছে যাওয়া যায়। অত্যধিক লাগেজ না থাকলে রাজধানীর ‘সুপরিচিত’ যানজট এড়াতে এই মেট্রো ব্যবহার করেন বিমান বা রেলযাত্রীরা।
ডিএমআরসি’র দাবি, এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনটি দিনে গড়ে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ব্যবহার করেন। এতদিন এই রুটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিতে মেট্রো ছুটত। যার ফলে উল্লিখিত রুটের একটি প্রান্তিক স্টেশন নিউ দিল্লি থেকে মাত্র ৬টি স্টেশন পেরিয়ে আরেক প্রান্তিক স্টেশন দ্বারকা সেক্টর-২১ পর্যন্ত সময় লাগত প্রায় আধঘণ্টা। বুধবার থেকে সেই যাত্রায় অন্তত মিনিট দশেক কম সময় লেগেছে। মাত্র ছ’মাসের মধ্যে এই ভোলবদল এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনের।