বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট নোটে খাদ্যমন্ত্রক উল্লেখ করেছে, পরিকল্পনা কমিশনের ২০১১-১২ সালের ৬৮তম গৃহস্থালি খরচ সংক্রান্ত সমীক্ষা, তেন্ডুলকর পভার্টি এস্টিমেট (১১-১২) এবং ২০১১ সালের সেন্সাস রিপোর্টের ভিত্তিতে দেশে গরিবের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফের গৃহস্থালি খরচ সংক্রান্ত সমীক্ষা শুরু করেছে এনএসও। ওই সমীক্ষার তথ্য ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসে পাওয়া যাবে। কিন্ত বিভিন্ন সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সার্বিক উন্নয়নের ফলে দেশে দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে। নোটে আরও বলা হয়েছে, ২০১১-১২ সালে পরিকল্পনা কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষ মোট জনসংখ্যার ২১.৯২ শতাংশ। তেন্ডুলকর কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিকল্পনা কমিশন ওই সিদ্ধান্তে এসেছিল। তারপর এ বিষয়ে নতুন কোনও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। ২০১৯ সালে নীতি আয়োগ তেন্ডুলকার কমিটির ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একই কথা জানায়। কিন্তু বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিসার্চ টিমের একটি রিপোর্টে বলা হয়, দেশে দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা কমে ১০.২০ শতাংশ হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই খাদ্যমন্ত্রকের দাবি, সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা, সেই সঙ্গে ভর্তুকির পরিমাণ কমবে। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কাল, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে রেশন দোকান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। আগামী ২২ মার্চ তারা সংসদ ভবন অভিযান করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোট ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষের এই প্রকল্পের আওতায় থাকার কথা। ২০১৩ সালে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প চালুর সময়েই সুবিধা প্রাপকদের কোটা ঠিক করে দিয়েছিল কেন্দ্র। কোন রাজ্যে কত সংখ্যক মানুষ খাদ্য সুরক্ষার সুবিধা পাবে, তা বেঁধে দেওয়া হয় তখনই। সেই সংখ্যা এখনও অপরিবর্তিত। কিন্তু কয়েকটি রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ বাদে) নিজেদের কোটা পূরণ করতে না পারার জন্য এখন ৮০ কোটির কিছু বেশি সংখ্যক মানুষ খাদ্য সুরক্ষার সুবিধা পায়।