কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দু’দফায় মিনিট কয়েকের জন্য সভা চলে। পরে সারাদিনের জন্য মুলতুবি হল সংসদ। সরকারের মুখে কেন কোনও জবাব নেই, প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি সহ বিরোধীরা। সোমবার থেকে সংসদে শুরু হওয়া রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনই হোক বা বুধবার থেকে বাজেট আলোচনা, সেখানেও এই ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরবে বলেই ঠিক করেছে বিরোধীরা। কীভাবে সরকারকে চেপে ধরা হবে, তা নিয়ে এদিনও মল্লিকার্জুন খাড়্গে বিরোধীদের ডেকে বৈঠক করেন। ঠিক হয়, অলআউট আক্রমণে নামা হবে। সরকার কেন এলআইসিকে আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগ করতে বাধ্য করল, তা নরেন্দ্র মোদিকে বলতে হবে। করতে হবে তদন্ত। যদিও এদিন বিরোধীদের বৈঠকে তৃণমূল না যাওয়ায় সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি তৃণমূল বিরোধীদের এই জোটে নেই? যদিও তারা যে এদিন বৈঠকে যাবে না, তা আগেই খাড়্গেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিদ্ধান্ত তো হয়েই গিয়েছে। আমরা এই ইস্যুতে একসঙ্গে আছি। সোমবার সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলও থাকবে। দলীয় সূত্রে খবর, মহুয়া মৈত্র এবং শান্তনু সেন কংগ্রেসের আয়োজনে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভে অংশ নেবেন।০অন্যদিকে, আদানির সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির আঁতাতের কথা বললেন তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র। অন্যদিকে, সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর বক্তব্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মনোনীত ব্যক্তি সরকারি সব ব্যাঙ্কেই ডিরেক্টর পদে থাকেন। আদানির কোম্পানিকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? ফলে আদানি ইস্যুতে মোদি সরকার যে কোণঠাসা, তা বলাই বাহুল্য। যদিও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমাদের এই ইস্যুতে কিছু বলার নেই। তবে আদানি ইস্যুতে শেয়ার বাজারে যাতে ব্যাপক কোনও প্রভাব না পড়ে, তার জন্য মাঠে নামলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং অর্থসচিব টি ভি সোমনাথন। তাঁরা বলেছেন, আদানি গোষ্ঠীর নানা কোম্পানির শেয়ার মূল্য পড়ে যাওয়ার জন্য দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়বে না। এরমধ্যেই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।