কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের মন্তব্য নিয়ে সরব হন রাজনাথ সিং। দু’দিন আগেই গুজরাতে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করেন খাড়্গে। তিনি বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নিজের কাজ ভুলে গিয়ে পুরসভা নির্বাচন হোক কিংবা বিধানসভা ভোট, যে কোনও নির্বাচনের প্রচারেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। সব জায়গাতেই বলছেন, তাঁকে দেখে ভোট দিতে। আর কতবার আমরা মোদিজির মুখ দেখব? রাবণের মতো তাঁর কি ১০০টি মাথা? খাড়্গের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, খাড়্গের এই মন্তব্য শুধু একটা কথা নয়। এর থেকে গোটা কংগ্রেস নেতৃত্বের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যাঁরা গুজরাতের সম্মান ও গর্ব প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন ‘অপ’শব্দ প্রয়োগ করছেন, রাজ্যের মানুষ ভোটবাক্সে তাঁদের উচিত শিক্ষা দেবে। রাজনাথের কথায়, কোনওরকম অবমাননাকর মন্তব্য সুস্থ গণতন্ত্রের প্রতিফলন হতে পারে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নন। এই পদ একটি প্রতিষ্ঠান। ফলে তাঁর সম্পর্কে যাঁরা খারাপ মন্তব্য করছেন, গুজরাতের মানুষই তাঁদের জবাব দেবেন। কারণ, যাঁর সম্পর্কে ওই অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে, তিনি শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, একবিংশ শতকে তিনি গুজরাতের গর্ব ও সম্মানের প্রতীক। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে বিজেপি নেতারা অহরহ ‘মৌনি বাবা’ বলে কটাক্ষ করতেন। তখন এই শিষ্টাচারের কথা কি আদৌও মনে রেখেছিল গেরুয়া শিবির। এনিয়ে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মৌনি বাবা মোটেই অবমাননাকর শব্দ নয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব যেভাবে মোদি সম্পর্কে ‘রাবণ’ কিংবা ‘নীচ’-এর মতো শব্দ প্রয়োগ করে চলেছে, তেমনটা তারা কখনওই করেনি।