পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
পাশাপাশি, সিআইআইয়ের তত্ত্বাবধানে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীন আইটিআই, পলিটেকনিকসহ নানা ধরনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি নিশ্চিত করতে একটি মাধ্যম তৈরি করে দেয় রাজ্য। ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়েছেন রাজ্যের হাজার হাজার যুবক-যুবতী। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এবং খড়্গপুরে দুই জায়গায় নিয়োগপত্র দেওয়ার অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে হুগলির ১০৭ জন ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ আসে রাজ্য সরকারের কাছে। তৎক্ষণাৎ রাজ্যের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি জানানো হয় সিআইআই’কে। রাজ্যের নির্দেশ অনুযায়ী, এই ১০৭ জনের জন্যই অবশ্য বিকল্প চাকরি নিশ্চিত করেছে সিআইআই। এঁদের মধ্যে সকলকেই দুই থেকে তিনটি করে সংস্থায় চাকরির অফার দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে তাঁদের পছন্দমতো সংস্থা তাঁদেরকেই বেছে নিতে। এদিন নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদি বলেন, ‘অনেকেই খবর ছড়াচ্ছেন, রাজ্য সরকার নাকি ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছে! আমি পরিষ্কার বলতে চাই, সরকার কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি। সরকার নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শুধুমাত্র শিল্পসংস্থা এবং চাকরি প্রার্থীদের যোগাযোগের মঞ্চ প্রদানের একটি মাধ্যম তৈরি করে দিয়েছিল। যার মাধ্যমে সিআইআইয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালায় অনুমোদিত নিয়োগ এজেন্সি। এমনই একটি নিয়োগ এজেন্সির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এফআইআর-ও হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।’ বণিকসভা সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলের সভাপতি প্রশান্ত শর্মাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। কারিগরি শিক্ষা ক্ষেত্রে গত ১১ বছরে রাজ্যের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে মুখ্যসচিব বলেন, যুবক-যুবতীদের চাকরি নিশ্চিত করতে রাজ্য যে প্রচেষ্টা করছে, সেটা বানচাল করার চেষ্টা অনুচিত। ২০১১ সালের পরে রাজ্যে আইটিআইয়ের সংখ্যা ৮০ থেকে বেড়ে ২৮০ হয়েছে। একইভাবে তৈরি হয়েছে ১১৫টি নতুন পলিটেকনিক কলেজ। পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৪,৮২১ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০০। প্রশিক্ষিত যুবক-যুবতীদের চাকরি নিশ্চিত করাই রাজ্যের লক্ষ্য।