কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তাই অশোক গেহলটকে তাঁর অবস্থান ঠিক করতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে রাজস্থানের দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং অজয় মাকেনকে বলেছেন, জয়পুরে দলের যা অবস্থা দেখে এলেন, তা নিয়ে লিখিত রিপোর্ট দিন। গেহলটকে বলা হয়েছে, কী করবেন ঠিক করে দিন। কারণ, কোনওভাবেই রাজস্থানের হাল পাঞ্জাবের মতো হোক, চান না সোনিয়া।
আগামী বছর রাজস্থানে ভোট। তাই কোনওভাবেই দলের রাশ হারাতে নারাজ কংগ্রেস হাইকমান্ড। তারই মধ্যে আগামী শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমার শেষ দিন। গেহলটকে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে বসিয়ে রাজস্থানে শচীন পাইলটকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানোরই পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেস হাইকমান্ডের। কিন্তু গেহলট কোনওভাবেই শচীনকে মুখ্যমন্ত্রী মানতে চাইছেন না। তাঁর এই শর্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে বিবাদ। নিজের পক্ষে সমর্থনের শক্তি প্রদর্শনে গেহলট কাছের ৯২ জন বিধায়ককে দিয়ে তৈরি করেন নাটকীয় পরিস্থিতি। তাঁরা হুমকি দেন গণ ইস্তফার। সঙ্গে প্রস্তাব। শচীন পাইলট নয়। অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করুক হাইকমান্ড। কিন্তু গেহলটের এই শক্তি প্রদর্শন ব্যুমেরাং হতে চলেছে বলেই এআইসিসি সূত্রে খবর। তাঁকে আর সভাপতি পদে দল সমর্থন করবে না বলেই ঠিক হয়েছে। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেও। আপাতত সি পি যোশিকে মুখ্যমন্ত্রী করে পরে পাইলটের নেতৃত্বে ভোট লড়তে পারে কংগ্রেস। অশোক গেহলটের আচরণ মোটেই সমর্থন যোগ্য নয় বলেই সোমবার সোনিয়াকে মৌখিক রিপোর্ট দিয়েছেন খাড়্গে এবং অজয় মাকেন। প্রশ্ন উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে গেহলটকে সভাপতি পদে বসালে তিনি সীতারাম কেশরীর মতো গান্ধী পরিবারকে অগ্রাহ্য করবেন না তো। আজই তাঁর সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা। তার আগেই গেহলটের আচরণে বিরক্ত সোনিয়া। সূত্রের খবর, অনুগামীদের আচরণের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান নেতা। কিন্তু তাতে বরফ গলবে কি? এদিন রাহুলের সঙ্গে কথা বলেছেন শশী থারুর। পরে তিনি বলেন, যখন মনোনয়ন দাখিল করব, তখনই দেখতে পারবেন কত লোকের সমর্থন রয়েছে।