বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিনের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে টাকার দাম ছিল ৮১. ৪৭ টাকা। পরে আরও ২০ পয়সা পতন ঘটে। অর্থাৎ, আগের দামের থেকে সবমিলিয়ে ৫৮ পয়সা খুইয়েছে টাকা। গত শুক্রবার ৩০ পয়সা হারিয়ে এক ডলারের দাম হয়েছিল ৮১.০৯ টাকা। এই নিয়ে টানা চারদিন অব্যাহত থাকল টাকার পতন। রাশিয়া-ইউক্রেন দীর্ঘ যুদ্ধ, বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা এবং শেয়ার বাজারে পতন টাকার দর টেনে নামাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মন্দার প্রভাব ও ক্রমাগত ডলারের দাম বৃদ্ধির জন্যই ভারতীয় মুদ্রার দামের পতন বিগত কয়েক মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। উৎসবের মরশুমে এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের জবাবদিহি চেয়েছে শারদ পাওয়ারের দল এনসিপি। গত সপ্তাহেই আমেরিকা তাদের ফেডেরাল রিজার্ভ পলিসিতে পরিবর্তন আনে এবং সুদের হার বাড়িয়ে দেয়। এ কারণেই অর্থনীতির গতি ক্রমশ ধীর হচ্ছে এবং টাকার দাম পড়ছে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলতি সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও রেপো রেট বা সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে। তবে শুধু ভারত নয়, সমগ্র এশিয়ার অর্থনীতিতেই মন্দার ব্যাপক প্রভাব দেখা গিয়েছে। চীন ও জাপানের মুদ্রার দামেও বড় পতন হয়েছে।
আর্থিক মন্দার মেঘ দেখা গিয়েছে জার্মানির অর্থনীতিতেও। গ্যাস ও বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির জেরে সেদেশের মুদ্রাস্ফীতি লাগামছাড়া। ফলে টানা চার মাস পড়েছে জার্মানির আর্থিক সূচক আইএফও। আগস্ট মাসের ৮৮.৫ পয়েন্ট থেকে চলতি সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ৮৪.৩ পয়েন্ট। ব্যাপক পড়েছে ব্রিটেনের মুদ্রা পাউন্ডের দাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর ছাঁটার কথা ঘোষণা করেছেন সেদেশের ট্রেজারি চিফ কাওয়াসি কাওয়ারটেং। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীত হতে পারে। আরও বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতি। কর ছাঁটাইয়ের জেরে রাজস্ব ঘাটতির জন্য লিজ ট্রাস সরকারকে বাজার থেকে ঋণ করতে হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নুরিয়েল রুবিনি বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার পূর্বাভাস শুনিয়েছেন। তাঁর কথায়, এ বছরের শেষে আমেরিকা সহ বিশ্বে দীর্ঘ ও কুৎসিত মন্দা আছড়ে পড়তে চলেছে।