কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাংলাদেশ পুলিস সূত্রের খবর, অনন্ত ২০১৫ সালের মে মাসে খুন হন। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিক মতবাদের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। মুক্তমনর হয়ে ব্লগ লিখতেন। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ফয়জল, আব্দুল খায়ের রশিদ আহমেদ এবং হারুন অর রশিদ। তখন হারুন আর রশিদ ধরা পড়ে। অন্যরা পলাতক ছিল। সাতবছর বিচার চলার পর বাংলাদেশের আদালত এবছর চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ র্যাবের কাছে খবর আসে, ফয়জল ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। শাহিদ মজুমদার নামে অসম থেকে ভোটার, আধার ও প্যান কার্ড তৈরি করেছে। খুলেছে গোটা দশেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এখানে বাংলাদেশ থেকে টাকা ঢুকছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই অপরাধী যে ফোন ব্যবহার করছিল তার নম্বর জোগাড় করেন বাংলাদেশের পুলিস আধিকারিকরা। সেটি পাঠানো হয় ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির কাছে। তারা এই নম্বর ট্র্যাক করতে গিয়ে দেখে, শাহিদ রয়েছে বেঙ্গালুরুর বোমানহাল্লি থানা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় কর্ণাটক পুলিসকে। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ফয়জল ছদ্মবেশে গাড়ি ড্রাইভারের কাজ করছে। শাহিদ যেখানে গাড়ি চালাত, বেঙ্গালুরু পুলিস সেখানেই পৌঁছে যায়। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ফয়জলকে জেরা করে বেঙ্গালুরু পুলিস জানতে পারে, ২০১৫-র জুনের শেষে সে বসিরহাট সীমান্ত পথে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে। সেখানেই থাকত। তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় আল কায়েদার স্লিপার সেলের। এরপরই ওই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সে কাজ করতে শুরু করে। এখানে পালিয়ে থাকার সময় পাকিস্তানের আল কায়েদা প্রধানের সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট মারফত তার যোগাযোগ হয়। বাংলা ও অসমে সংগঠন বাড়ানোর দায়িত্ব পায় ফয়জল। সেইমতো মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা সহ কয়েকটি জেলায় গিয়ে ‘দাওয়াত’ দিয়ে নতুন জঙ্গি নিয়োগ করতে শুরু করে সে। অসমে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলে। সেখানে গিয়ে আল কায়েদার জন্যও কাজ শুরু করে। তার মূল লক্ষ্য ছিল, অসম ও বাংলায় ‘ফ্রি জোন’ তৈরি করা। উত্তর-পূর্বের মিজোরাম ও মণিপুরেও সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করেছিল ফয়জল। মিজোরাম থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করে সে। তাকে শাহিদ মজুমদার নামেই সকলে চিনত। বাংলাদেশে আল কায়েদার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছ থেকে সে টাকা পেত। তা দিয়ে কেনা হয়েছে অস্ত্রসহ নানা সামগ্রী। প্রশিক্ষণের জন্য একাধিক শিবির খুলেছিল এরাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া জেলায় এবং অসমে। এর সঙ্গেই জাল নোট এনে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ছড়াচ্ছিল। এই সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয় এসটিএফকে।