গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়ার মতো বৃহৎ এক প্রক্রিয়াকে সাধারণ একটি রুটিন নিয়ম এবং বিভাগীয় সিদ্ধান্তের স্তরেই নামিয়ে আনতে চলেছে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মহারত্ন সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে শুধু সার্বিক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা। কিন্তু আংশিক বিলগ্নিকরণ অথবা শেয়ার বিক্রি, ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখন থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স নিতে পারবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের আওতায় থাকা ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট একটি নির্দেশিকা তৈরি করে দেবে। সেই নীতি ও নির্দেশিকা অনুসরণ করবে ওই সংস্থাগুলি।
এতদিন কেন্দ্রীয় সরকারের নবরত্ন, মহারত্ন, মিনিরত্ন সংস্থাগুলির বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স শুধুমাত্র যৌথ উদ্যোগ, দুই ইউনিটের সংযুক্তিকরণের কাজ করারই অধিকারী ছিল। কিন্তু সংস্থার বিলগ্নিকরণের একক অধিকার তাদের ছিল না। বিলগ্নিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অথবা মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির অনুমোদনের দরকার ছিল। ২০২১ সালে মোদি সরকার নয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নীতি চালু করেছিল। সেই নীতির প্রধান লক্ষ্যই হল সরকারি সংস্থার উপর থেকে প্রশাসনিক কর্তৃত্ব যথাসম্ভব কমিয়ে আনা। আর সেই নীতিকে সামনে রেখেই বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে নতুন সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারি সংস্থার আর্থিক পর্যালোচনা ও সেগুলির ভালোমন্দ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। যে কোনও সময় যে কোনও সংস্থাকেই আর্থিক শক্তি ও দুর্বলতার বিচারে বিক্রি কিংবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সেই সংস্থার পরিচালক গোষ্ঠীই নিতে পারবে। মোদি সরকার সেই দায় থেকে নিজেদের সুকৌশলে সরিয়ে নিচ্ছে।