পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কংগ্রেস হাইকমান্ডের প্রবল সমালোচনা করেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন হার্দিক। বলেছেন, ‘গুজরাত নিয়ে আলোচনা করার চেয়ে দিল্লির নেতারা নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসেন। আর গুজরাতের প্রদেশ নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন দিল্লির নেতা ঠিক মতো চিকেন স্যান্ডউইচ পাচ্ছেন কি না, তার তদারকিতে। গুজরাত সম্পর্কে কংগ্রেসের কোনও আগ্রহই নেই। কংগ্রেস ছাড়লাম।’ সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন ইস্তফা পত্র। গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন তিনি।
হার্দিকের ইস্তফায় কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়লেও প্রকাশ্যে মানতে নারাজ। বরং দল ছাড়তেই হার্দিকের নামে সমালোচনা করতে শুরু করে দিয়েছে। গুজরাতের নেতা তথা রাজ্যসভার এমপি শক্তিসিং গোহেল বলেন, ‘অনেক বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হার্দিককে। কিন্তু তিনি ঠিকমতো তা পালনই করতে পারেননি। বরং দলের টিকিট বিক্রি করেছেন। তাই তাঁর মতো যুবনেতা দল ছাড়ায় কংগ্রেসে কোনও প্রভাব পড়বে না।’ কংগ্রেস ছেড়ে হার্দিক প্যাটেল এখনও কোনও দলে যোগ দেননি। তবে বিজেপিতে যাচ্ছেন ধরে নিয়ে শক্তিসিং বলেন, ‘অমিত শাহকে একসময় জেনারেল ডায়ারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন হার্দিক। এখন সেই ডায়ারের দলেই কী করে যাচ্ছেন?’
এদিকে, গত সপ্তাহে লাগাতার তিনদিন উদয়পুরে দলের ‘নব সংকল্প চিন্তন শিবিরে’র রেশ ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। তাই মঙ্গল-বুধ, দু’দিন দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরে চলল এআইসিসির সাধারণ সম্পাদকদের বিশেষ বৈঠক। কীভাবে কার্যকর হবে চিন্তন শিবিরের সিদ্ধান্ত, তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা। ঠিক হয়েছে, উদয়পুরে যেভাবে চিন্তন শিবির হয়েছে, একই ঢঙে প্রদেশস্তরেও হবে কর্মশালা। আগামী ১-২ জুন সারা দেশের প্রদেশস্তরে ওই শিবিরে রাজ্যস্তরের নেতা, এমপি, বিধায়ক, গত লোকসভা-বিধানসভার প্রার্থীর পাশাপাশি পরিচিত নেতানেত্রীরাও অংশ নেবেন। তারই নির্যাস নিয়ে ১১ জুন হবে জেলাস্তরে একদিনের শিবির। একইসঙ্গে রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস শিবির করে রাজনৈতিক মহলে গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টাও করছে কংগ্রেস। কিন্তু নেতারা যেভাবে দল ছাড়ছেন, তাতে কংগ্রেসের প্রতি সাধারণের আস্থা কতটা ফিরবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।