বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আন্দামান থেকে কেরল পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার পথে মৌসুমি বায়ু সাধারণত বিশেষ বাধার মুখে পড়ে না। দিন দশেকের মধ্যে তাই কেরল উপকূলে পৌঁছে যায় বর্ষা। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর স্রোত ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে এলে প্রায়শই ‘ব্লকেজের’ মুখে পড়ে থমকে যায়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মিহির গুহ জানিয়েছেন, এই সময় বিহার সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার প্রবণতা থাকে। এটা বর্ষার অগ্রগতিকে সাময়িকভাবে বাধা দেয়। মৌসুমি বায়ু অগ্রসর হওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে তা বর্ষার অগ্রগমন সহজ হয়। কিন্তু সে রকম কিছু তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত এখনও আবহাওয়া দপ্তর দেয়নি। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার স্বাভাবিক দিন যথাক্রমে ৫ এবং ১০ জুন।
বঙ্গোপসাগর থেকে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে। হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে এই কারণে। দক্ষিণ-পশ্চিমী বাতাস ও বিহারের উপর নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গে এখন নিয়মিত বজ্রমেঘ সৃষ্টি হচ্ছে। ওই মেঘ থেকেই দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে, উষ্ণ ও শুষ্ক উত্তর-পশ্চিমী হাওয়ার দাপটে উত্তর ভারত জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ।